ক্রমেই বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগণার ক্রাইম গ্রাফ
ক্রমেই চড়ছে উত্তর চব্বিশ পরগনার ক্রাইম গ্রাফ। খুন, ধর্ষণ লেগেই রয়েছে। চুরি-ডাকাতি তো জলভাত। ছাড় নেই পুলিসেরও। ইদানিং তাঁদেরকেও পড়তে হচ্ছে দুষ্কৃতীদের বোমা-গুলির সামনে। কী হচ্ছে জেলায়? কী করছে পুলিস-প্রশাসন?
ব্যুরো: ক্রমেই চড়ছে উত্তর চব্বিশ পরগনার ক্রাইম গ্রাফ। খুন, ধর্ষণ লেগেই রয়েছে। চুরি-ডাকাতি তো জলভাত। ছাড় নেই পুলিসেরও। ইদানিং তাঁদেরকেও পড়তে হচ্ছে দুষ্কৃতীদের বোমা-গুলির সামনে। কী হচ্ছে জেলায়? কী করছে পুলিস-প্রশাসন?
বাড়িতেও নেই নিরাপত্তা? শুধু বুধবার রাতের জগদ্দলের ঘটনা নয়, এর আগেও বারবার উঠেছে এই প্রশ্ন।
ঘটনা একাধিক। জেলা সেই এক। উত্তর ২৪ পরগনা।
বাগদা(09.06.15)-শাসন(28.05.15)
সন্তানের সামনে, বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ হরিহরপুরে। এ যেন ঠিক, শাসনকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। সেখানেও রাজবাটিতে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এসব কিছুই নতুন নয় জেলায়। গত কয়েক মাসে বারবার দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের একের পর এক ঘটনায় উঠে এসেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার নাম।
সাতই মে, মধ্যমগ্রামে ব্রিজের উপর গাড়ি ঘিরে ফিল্মি কায়দায় জোড়া খুন।
বারোই মে, আপ কৃষ্ণনগর লোকালে, কামরার মধ্যেই দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে বোমাবাজি। রক্তারক্তি কাণ্ড। আহত নিরীহ যাত্রীরা।
দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি এরপর ট্রেনের কামরা ছাড়িয়ে বাসস্ট্যান্ডেও। টিটাগড় বাসস্ট্যান্ডে ষোলোই মের ওই ঘটনায় জখম চারজন।
আঠাশে মে, সোদপুর ফ্লাইওভার থেকে চার নম্বর স্টেশনে বোমাবাজি দুষ্কতীদলের। আহত দুই।
নয়ই জুন। ঘটনাস্থল ফের টিটাগড়। দুষ্কৃতীদের বোমার নিশানায় এবার পুলিসেরই গাড়ি।
চলছে বেপরোয়া গুণ্ডারাজ। বাড়ছে বই, কমছে না। তা সত্ত্বেও কেন টনক নড়ছে না পুলিস-প্রশাসনের? সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই কি তাহলে দুষ্কৃতীদের এমন বাড়বাড়ন্ত ?