আজ থেকে শুরু জাঠা, গ্রামের ভোট ব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী সিপিআইএম
গ্রামের ভোট ব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী সিপিআইএম। আর সেই লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে আজ থেকে টানা পাঁচ দিন জাঠা করবেন তাঁরা। সিপিআইএমের গণসংগঠন কৃষক সভার উদ্যোগে তিরিশ হাজার গ্রামে এই জাঠা হবে। উল্লেখযোগ্য পাঁচ দিন ধরে জাঠা চলাকালীন নেতারা বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের বাড়িতেই থাকবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও। আজ বীরভূমের এক কৃষকের বাড়িতে থাকবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাঁচ দিনের এই জাঠায় কৃষক সভা সরব হবে একশো দিনের কাজের খারাপ অবস্থা, কৃষক আত্মহত্যা ও ধানের দাম না পাওয়ার ইস্যুতে। প্রায় সাড়ে তিন দশক পরে কৃষক সভা রাজ্য জুড়ে এত বড় কর্মসূচী নিল।
ওয়েব ডেস্ক: গ্রামের ভোট ব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী সিপিআইএম। আর সেই লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে আজ থেকে টানা পাঁচ দিন জাঠা করবেন তাঁরা। সিপিআইএমের গণসংগঠন কৃষক সভার উদ্যোগে তিরিশ হাজার গ্রামে এই জাঠা হবে। উল্লেখযোগ্য পাঁচ দিন ধরে জাঠা চলাকালীন নেতারা বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের বাড়িতেই থাকবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও। আজ বীরভূমের এক কৃষকের বাড়িতে থাকবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাঁচ দিনের এই জাঠায় কৃষক সভা সরব হবে একশো দিনের কাজের খারাপ অবস্থা, কৃষক আত্মহত্যা ও ধানের দাম না পাওয়ার ইস্যুতে। প্রায় সাড়ে তিন দশক পরে কৃষক সভা রাজ্য জুড়ে এত বড় কর্মসূচী নিল।
এদিকে, দলের নতুন কৌশলগত নীতিতে সিল মোহর দিল সিপিআইএম পলিটব্যুরো। গত দুদিন ধরে পলিটব্যুরোর বৈঠকে দলের নতুন ট্যাকটিকাল লাইন কী হবে তা নিয়ে আলোচনা চলে। পলিটব্যুরোর সিল মোহর পাওয়ার পর দলের নতুন লাইন নিয়ে আলোচনা হবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সেখানে অনুমদিত হলে নতুন এই লাইন পাশ করানো হবে সিপিআইএম পার্টি কংগ্রেসে।
একের পর পর ভোট বিপর্যয়ের পর সিপিআইএম নেতৃত্ব বুঝতে পারছিলেন দলের কৌশলগত লাইন বা ট্যাকটিকাল লাইনে পরিবর্ত প্রয়োজন। দলের নতুন কৌশলগত লাইন কী হবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয় দলের অন্দরে। নতুন কৌশলগত লাইনে সিপিআইএম সম্ভবত দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়ার রাস্তায় হাটতে চলেছে। কারণ তাদের মূল্যায়ন মোদী ঝড় আটকাতে মহাজোট গড়া ছাড়া অন্য পথ নেই। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এই মহাজোট ঠিক কোন কোন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে করতে চান সিপিআইএম নেতারা?
বিকল্প জোট করা ক্ষেত্রে বামেদের পুরনো অভিজ্ঞতা ভাল নয়। এর আগে নবীন পট্টনায়েক, জয়ললিতা, নীতিশকুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডুদের দলের সঙ্গে জোট করে পস্তাতে হয়েছে বামেদের । কারণ এরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময় বিজেপির সঙ্গী ছিল । যার মূল্য দিতে হয়েছে বামপন্থীদের।
উল্টো দিকে এ মুহূর্তে এরাই এখন দেশের প্রধান আঞ্চলিক দল। শুধু মাত্র আঞ্চলিক দলগুলিই নয়, নিশ্চিত ভাবে এটা দেখার বিজেপি বিরোধী মহাজোটে কংগ্রেসকে পেতে বামেরা আগ্রহী কিনা ? সেক্ষেত্রে কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে সম দূরত্ব লাইন থেকে সরতে হবে সিপিআইএমকে। পাশাপাশি বিজেপিই যে প্রধান প্রতিপক্ষ তাদের তাও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে হবে। এখন দেখার সেই পথে এগোন কিনা সিপিআইএম নেতারা।