দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল রাজ্য কৃষি দফতরের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের ৭২ কোটি টাকার হিসেবই পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি কম্পিউটারে। কোথায় গেল এই বিপুল পরিমাণ টাকা, তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্বভারতে কৃষির উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল রাজ্য কৃষি দফতরের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের ৭২ কোটি টাকার হিসেবই পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি কম্পিউটারে। কোথায় গেল এই বিপুল পরিমাণ টাকা, তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্বভারতে কৃষির উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে কেন্দ্র। ওড়িশা, ছত্তিসগড়, উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশ ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসমের পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে এ রাজ্যও। দুহাজার এগারো-বারো আর্থিক বর্ষে ওই প্রকল্পে এ রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয় ৭২কোটি টাকারও বেশি।
ওই টাকায় উন্নতমান বীজ কেনা, সেচের উন্নয়ন করা, সার ছাড়া কৃষির অনান্য খরচের জন্য রাজ্যের মাধ্যমে কৃষকদের অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় কেন্দ্র। কিন্তু এই টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়, আদৌ খরচ করা হয়েছিল কিনা, তার কোনও সরকারি রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কম্পিউটারে হিসেব নেই।দফতরের লেজার বুকেও ঠিক মত লেখা হয়নি হিসেব। সম্প্রতি কৃষি দফতরে নতুন সচিব এসেছেন। জানা গেছে, এর আগের সচিবের কম্পিউটারে এই প্রকল্পের টাকার হিসেব ছিলকিন্তু রাতারাতি প্রকল্পের টাকা খরচের হিসেব উধাও হওয়ার খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি হিসেব চেয়ে পাঠিয়েছেন। শুধু এই প্রকল্পের টাকা খরচেরই হিসেব নয়। কৃষি দফতরকে দেওয়া কেন্দ্রের বিভিন্ন টাকার খরচের হিসেবও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে স্পেশাল অডিট হতে পারে। টাকার খরচ হোক বা না হোক, এ রাজ্যে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব প্রকল্প কিন্তু মুখ থুবরে পড়েছে। গত আর্থিক বর্ষে এগারোটা জেলায় ধান চাষ এবং পনেরটি জেলায় গম চাষের পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়। কিন্তু দশ হাজার হেক্টর জমিতে কম চাষ হওয়ায়, সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উল্টে এর জন্য এ বছর ৩০ হাজার মে্ট্রিক টন ধান কম উত্পাদন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কেন্দ্রের প্রকল্প এ রাজ্যে মুখ থুবরে পড়ার একটা ব্যাখ্যা অবশ্য রয়েছে রাজ্য কৃষি দফতরের। তাঁদের মতে,বীজের মান অত্যন্ত খারাপ ছিল। কৃষকেরা ঠিক মতো কাজ করেননি। চলতি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে এ রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৬৯ কোটি টাকা। গত বছরের হিসেব পাওয়া না গেলেও এ বছর এই টাকা কীভাবে খরচ করা হবে, তা স্থির করে ফেলেছে রাজ্য কৃষি দফতর। ।