মাতৃ আশ্রয় হোম থেকে আজও উদ্ধার করা গেল না আবাসিক শিশুদের
হোম থেকে নিজের বাড়িতে শিশুদের নিয়ে গিয়ে রেখেছেন তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণের স্ত্রী কল্পনা বর্মণ। তাই মাতৃ আশ্রয় হোম থেকে আজও উদ্ধার করা গেল না আবাসিক শিশুদের। এখনও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এই হোমের বিরুদ্ধে? বিধায়কের স্ত্রী বলেই কি ছাড়? পুলিস ও প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন বিরোধীদের।
ওয়েব ডেস্ক: হোম থেকে নিজের বাড়িতে শিশুদের নিয়ে গিয়ে রেখেছেন তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণের স্ত্রী কল্পনা বর্মণ। তাই মাতৃ আশ্রয় হোম থেকে আজও উদ্ধার করা গেল না আবাসিক শিশুদের। এখনও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এই হোমের বিরুদ্ধে? বিধায়কের স্ত্রী বলেই কি ছাড়? পুলিস ও প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন বিরোধীদের।
কোচবিহার হোমকাণ্ডে বিতর্ক তুঙ্গে। শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণের স্ত্রীর হোম মাতৃ আশ্রয়ের আবাসিক শিশুদের শনিবারও উদ্ধার করা গেল না। জেলাশাসকের নির্দেশে হোম থেকে আবাসিকদের উদ্ধারে যান জেলা প্রশাসনেক আধিকারিকরা। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে হোমের আবাসিকদের সরিয়ে নিয়ে যান বিধায়কের স্ত্রী।
৭ই মার্চ CWC দফতরে ওই শিশুদের তুলে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে মাতৃ আশ্রয় হোমের চেয়ারপার্সন কল্পনা বর্মণকে। ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তিনি যে ৫ই মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন, তাও তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । রাজ্যের চাইল্ড রাইট ট্রাফিকিংয়ের ডিরেক্টর সরাসরি এই হোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেও, কেন তা কার্যকর করা হচ্ছে না? বিধায়কের স্ত্রী বলেই কি ছাড়? পুলিস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। হোমের শিশুদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাহলে কেন শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন বিজেপি নেতাদের। কোচবিহার হোমকাণ্ডের জল গড়াবে কোনদিকে? আপাতত সবপক্ষের নজর ৭ই মার্চের দিকে।