উলুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ব্যাঙ্ক কর্মীর আত্মহত্যা ঘিরে রহস্য

উলুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ব্যাঙ্ক কর্মীর আত্মহত্যা ঘিরে রহস্য। নোট বদলের দুর্নীতিতে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মানসিক চাপে আত্মহত্যা। দাবি ফেসবুকে সুইসাইড নোটে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ।

Updated By: Feb 11, 2017, 08:52 PM IST
উলুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ব্যাঙ্ক কর্মীর আত্মহত্যা ঘিরে রহস্য

ওয়েব ডেস্ক : উলুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ব্যাঙ্ক কর্মীর আত্মহত্যা ঘিরে রহস্য। নোট বদলের দুর্নীতিতে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মানসিক চাপে আত্মহত্যা। দাবি ফেসবুকে সুইসাইড নোটে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ।
বাড়িতে রয়েছেন ছোট মেয়ে, স্ত্রী -বৃদ্ধ বাবা। তবে সকলকে ছেড়ে মৃত্যুটাকেই বেছে নিলেন রজত চৌধুরী। উলুবেড়িয়া স্টেশনে সামান্য দূরে এখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের বাণীতবলা শাখার অস্থায়ী কর্মী রজত চৌধুরী কদিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। তেমনটাই বলছে পরিবার। তবে এভাবে যে তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন কেউ ভাবতেই পারেনি কেউ...

আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক ম্যানেজারসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রজত চৌধুরীর পরিবারের

শুক্রবারও অন্যদিনের মতো ব্যাঙ্কে যান রজত। দুপুরের পর ফিরে আসেন। বিকেলে ফের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর খোঁজ মেলেনি তার। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ির লোকের দুশ্চিন্তা। সেটা আরও বাড়িয়ে দেয় একটা ফেসবুক পোস্ট...

ফেসবুকে 'শেষবার্তা' শুক্রবার রাত নটা বেজে তিন মিনিটে। ফেসবুকে রজত চৌধুরী লেখেন, ''কিছু মানুষ আমাকে বাঁচতে দিল না। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী সোমনাথ ঘোষ ও অমিত নায়েক। ব্যাঙ্কে যত টাকা এক্সচেঞ্জ হয়েছে সব সোমনাথ ঘোষ অ্যান্ড ফ্যামিলি আমাকে দিয়ে জোর করে লিখিত নিয়ে আমার নামে পুলিস কেস করে দিল। আমার সব বন্ধু ও আত্মীয় তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি চলে যাচ্ছি। আমার স্ত্রী, মেয়ে ও বাবা থাকল। তোমরা ওদের একটু যত্ন কোরো। আমি চলে যাচ্ছি। বাড়ির সকলে তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। এরপরেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন বাড়ি লোক। শেষ পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয়...

.