অধীরকে তার খাসতালুকেই জোর ধাক্কা দিল জোড়া ফুল
অধীর গড়ে ধাক্কা। আরও একবার কংগ্রেসের শক্ত ভিত মুর্শিদাবাদে থাবা বসালো তৃণমূল। এবার কংগ্রেসের তিন জেলাপরিষদ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। জোটের বাঁধন ছিন্ন করে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভাও দখল করল রাজ্যের শাসকদল। মুর্শিদাবাদ এখন পাখির চোখ শুভেন্দু ও অভিষেকের।
ওয়েব ডেস্ক: অধীর গড়ে ধাক্কা। আরও একবার কংগ্রেসের শক্ত ভিত মুর্শিদাবাদে থাবা বসালো তৃণমূল। এবার কংগ্রেসের তিন জেলাপরিষদ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। জোটের বাঁধন ছিন্ন করে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভাও দখল করল রাজ্যের শাসকদল। মুর্শিদাবাদ এখন পাখির চোখ শুভেন্দু ও অভিষেকের।
অধীর ম্যাজিকেও ভাঙন আটকাচ্ছে না। ভাগীরথীর পাড় ঘেঁষা মুর্শিদাবাদে এখন কান পাতলেই কংগ্রেসের ঘর ভাঙার আওয়াজ। জোট বাঁধনেও আটোসাটো নয় অধীর দুর্গ। বরং তাতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে হিতে বিপরীতই হয়েছে।
এবার বিধানসভা ভোটেই মুর্শিদাবাদে একত্রিশ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদে অধীরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছেন, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে জেলা দখল করবে তৃণমূল। এর পরেই একের পর এক পুর কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ সদস্য যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ না দেওয়ায় কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ
মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট পুরসভার সংখ্যা সাত। জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, কান্দি, বেলডাঙ্গা, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। ধুলিয়ান ছাড়া আর কোনও পুরসভাই তৃণমূলের দখলে ছিল না। দলবদলে জঙ্গিপুর চলে এল তৃণমূলের দখলে। জঙ্গিপুর পুরসভার মোট আসন ২১, এর মধ্যে চোদ্দটি ছিল বামেদের দখলে, কংগ্রেসের ছিল পাঁচটি, বিজেপির ও এসইউসির একটি করে। শনিবার পুরসভার চেয়ারম্যান সহ বারোজন বাম-কংগ্রেস-বিজেপি কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অর্থাত্ জঙ্গিপুর পুরসভা চলে এল তৃণমূলের দখলে। এবং এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা জাকির হোসেনের। এই জাকির হোসেনকেই বিধানসভা ভোটে টিকিট দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-মানসকে শো কজ করছে কংগ্রেস
এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদ রাজনীতিতে তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে ময়দানে দুই স্ট্রাইকার। সপ্তাহ খানেক আগেই জঙ্গিপুর পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছিল তৃণমূল। আর এই পথেই জেলা পরিষদে শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল।
জেলা পরিষদের তিন কংগ্রেস সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সত্তর আসনের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে কংগ্রেসের সদস্য ছিল বিয়াল্লিশ জন। তৃণমূলে তিন জন যাওয়ায় তা কমে হল উনচল্লিশ।
কিন্তু কেন বাড়ছে তৃণমূল। আদতে এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের সেরকম কোনও সংগঠনই ছিলনা মুর্শিদাবাদে, এখন সেই দলেরই ভিত শক্ত হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আরও অনেক কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান, সমিতির সদস্য যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে বলে শোনা যাচ্ছে।