৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাজ্য
চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বারাসত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৪১০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ৫০০ মিটার অন্তর হোর্ডিং দিয়েছে পূর্ত দফতর। হোর্ডিংয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রের।
ব্যুরো: চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বারাসত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৪১০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ৫০০ মিটার অন্তর হোর্ডিং দিয়েছে পূর্ত দফতর। হোর্ডিংয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রের।
বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় হোর্ডিং দিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি রাজ্যের এই সংঘাত এককথায় নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিরোধীদের দাবি, ভোটের আগে রাজ্যে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশার জন্য কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে কার্যত হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে সরকার।
কেন্দ্র না পারলে টাকা দিয়ে দিক। রাজ্য সরকার জাতীয় সড়কগুলি মেরামত করে নেবে। বিশে অগাস্ট নবান্নে এই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই রাস্তা সম্প্রসারণ সম্ভব হয়নি। এদিকে রাস্তা সম্প্রসারণের বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে বর্তমানে আর অর্থ নেই। দু হাজার দশে কাজের বরাত পেয়ে ব্যাঙ্ক ঋণ নেয় তারা। কাজ শুরু হয়নি। কিন্তু, সেই ঋণের জন্য এখনও সুদ দিতে হচ্ছে তাদের। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থার। টাকা না থাকায় তারা সেই কাজ করতে পারছে না।জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার হাতে টাকা না থাকলে সেই সংস্থাকে বাতিল করে অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দিক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দাবি পূর্ত দফতরের।