জলপাইগুড়ি শিশু পাচারে রাজনৈতিক যোগ, নাম জড়াল রাজ্য বিজেপি নেত্রীর
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারে রাজনৈতিক যোগ। নাম জড়াল রাজ্য বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর। বিজেপি নেত্রী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে FIR করেছে CID। যদিও অভিযোগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন করেছে রাজ্য বিজেপি। ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তুলছে তারা।অভিনেতাদের চড়া মেক আপ। ভয়াল চাউনি। ঝাঁঝালো সংলাপ। এটা সিনেমা। সুশ্রী মহিলা। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। দেখে মোটেও ভয় লাগে না। এটা বাস্তব। কিন্তু রিয়েল, রিলের থেকেও ভয়ঙ্কর। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ব্যবসা এখানে চলে আশ্রমের মোড়কে। পণ্য সদ্যোজাত শিশু। দত্তকের নামে শিশু ব্যবসা। কয়েকমাস আগেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ফাঁস হয়েছে এমন চক্র। কিন্তু, জলপাইগুলির কারবার একটু আলাদা। ব্যবসা এখানে অনেক হাই প্রোফাইল। পুলিস জানাচ্ছে, জলপাইগুড়িতে শিশু লেনদেন হত রীতিমতো নিলাম ডেকে শিশুর বুকিংসের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিত চন্দনা চক্রবর্তী ।এরপর এক একটি শিশুর দাম উঠত কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা।
ওয়েব ডেস্ক: জলপাইগুড়ি শিশু পাচারে রাজনৈতিক যোগ। নাম জড়াল রাজ্য বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর। বিজেপি নেত্রী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে FIR করেছে CID। যদিও অভিযোগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন করেছে রাজ্য বিজেপি। ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তুলছে তারা।অভিনেতাদের চড়া মেক আপ। ভয়াল চাউনি। ঝাঁঝালো সংলাপ। এটা সিনেমা। সুশ্রী মহিলা। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। দেখে মোটেও ভয় লাগে না। এটা বাস্তব। কিন্তু রিয়েল, রিলের থেকেও ভয়ঙ্কর। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ব্যবসা এখানে চলে আশ্রমের মোড়কে। পণ্য সদ্যোজাত শিশু। দত্তকের নামে শিশু ব্যবসা। কয়েকমাস আগেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ফাঁস হয়েছে এমন চক্র। কিন্তু, জলপাইগুলির কারবার একটু আলাদা। ব্যবসা এখানে অনেক হাই প্রোফাইল। পুলিস জানাচ্ছে, জলপাইগুড়িতে শিশু লেনদেন হত রীতিমতো নিলাম ডেকে শিশুর বুকিংসের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিত চন্দনা চক্রবর্তী ।এরপর এক একটি শিশুর দাম উঠত কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা।
শিশু পাচার হত আমেরিকা, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুরে।বড় কারবারে বড় নাম জড়াবে। স্বাভাবিক। এখানে বড় নাম কারা? তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে এক BJP নেত্রী ও তাঁর বাবার নাম।
আরও পড়ুন নভেম্বরের শেষে প্রকাশ্যে এসেছে শিশু পাচারের রমরমা নেটওয়ার্ক
চন্দনা চক্রবর্তীকে জেরায় জানা গেছে বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরীর নাম।জুহি চৌধুরীর বাবা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী বিরুদ্ধেও সূত্র পেয়েছে CID।চন্দনার বেআইনি দত্তক ব্যবসা নজরে ছিল দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাডপশন সেন্টারের।দিল্লিতে দরবার করতে জুহির সঙ্গে মোটা অঙ্কের সমঝোতা হয় চন্দনা চক্রবর্তীর।রবিবারই জুহির সঙ্গে চন্দনার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ।জুহি চৌধুরী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে CID। অবশ্য চন্দনা চক্রবর্তীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রে যুক্ত বহু বড় মাথা। একটি শিশুও বিক্রি হয়নি। দাবি করেছেন চন্দনা। তবে CID-র হাতে আসা রাশি রাশি নথি সেই দাবি সমর্থন করছে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের হিসেবও অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। কতদূর ছড়ানো এই পাচার চক্রের জাল?
আরও পড়ুন অবশেষে ঘেরাওমুক্ত হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য