দোস্তিপুরে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোমের আড়ালে শিশু বিক্রির রমরমা
মছলন্দপুর, ঠাকুরপুকুর ছাড়িয়ে এবার ফলতার কাছে দোস্তিপুর। সেখানেই সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোমের আড়ালে চলত শিশু বিক্রির রমরমা। পাচারের পাণ্ডা, হোমের সেক্রেটারি বিমল অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অধরা আরেক পাণ্ডা বাসন্তী চক্রবর্তী। সিল করে দেওয়া হয়েছে হোম।
ওয়েব ডেস্ক: মছলন্দপুর, ঠাকুরপুকুর ছাড়িয়ে এবার ফলতার কাছে দোস্তিপুর। সেখানেই সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোমের আড়ালে চলত শিশু বিক্রির রমরমা। পাচারের পাণ্ডা, হোমের সেক্রেটারি বিমল অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অধরা আরেক পাণ্ডা বাসন্তী চক্রবর্তী। সিল করে দেওয়া হয়েছে হোম।
ঠাকুরপুকুরের পূর্বাশা হোম। শিশু পাচারের গোডাউন। সেখান থেকে ১০ শিশুকন্যা উদ্ধারের পরই সামনে আসে জনৈক অধীকারী, বাসন্তী আর দোস্তিপুরের নাম। চব্বিশ ঘণ্টার কাছে এই দুজনের নাম উল্লেখ করে পূর্বাশার কো-অর্ডিনেটর জাহানারা। খোঁজ শুরু হয়। দেখা যায় অধীকারীবাবু হলেন বিমল অধিকারী। আর বাসন্তীর পুরো নাম বাসন্তী চক্রবর্তী। শিশুপাচারের দুই পাণ্ডা। পূর্বাশা থেকে খোঁজ মেলার পরেই শুক্রবার রাতে গ্রিন পার্কের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিমল চক্রবর্তীকে। তবে চম্পট দিয়েছে তার সঙ্গী বাসন্তী।
আরও পড়ুন খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে অর্গানিক মাছ এবং সবজি
সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোম। আড়ালে শিশুবিক্রি। বছর পনেরো ধরে চলছে জোকা মিলেনিয়াম ওল্ড এজ হোম। দোস্তিপুরের আগে গ্রিন পার্কে ছিল হোমটি। নামে বৃদ্ধাবাস হলেও এখানে অনাথ আশ্রম চলত। সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোম। তবে তার আড়ালেই চলত শিশু বিক্রি। দোস্তিপুরের এই হোম ২০টি অনাথ শিশুর আশ্রয়স্থল। সেখানেই হানা দেয় CID। পৌছন CWC-র প্রতিনিধিরাও। দেখা যায় আবাসিক শিশুদের সব নথি রয়েছে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে। আর এর আড়ালেই চলত শিশুর কারবার।
আরও পড়ুন নোট বাতিলের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ব্যবসায়ী
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোম। কুড়ি জন বৈধ আবাসিক। তবে তার মোড়কেই নোংরা কারবার। এলাকার লোকজন মাঝেমধ্যেই দেখতেন হোম থেকে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকার লোক দেখতেন। তবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোমের এই অন্ধকার দিক এতদিন নজরে আসেনি প্রশাসনের। সূত্রের খবর, শেষ কয়েকদিনে এখান থেকে বেশ কয়েকটি শিশুকে সরানো হয়েছে।
পূর্বাশা যদি গোডাউন হয়। দোস্তিপুরের হোমে হত কেনাবেচার ডিল। এখান থেকে ডিল ফাইনাল হওয়ার পর পূর্বাশা থেকে শিশু ডেলিভারি দেওয়া হত। সবটাই হত সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এক হোমের অন্দরে। প্রশাসনের নাকের ডগায়।