অভাবের তাড়নায় বুকের শিশুকে বিক্রি করে দিল মা
সরকারের টাকা খরচ করে বিশাল উত্সবের আয়োজন হয়ত ফিকে পরে যায় খবরে শিরোনামে না আসা কিছু ঘটনা। কিন্তু এই নিষ্ঠুর, বাস্তব খবরও সরকারের উদাসীনতাকে হুঁশিয়ারি দেয়। তেমনই এক খবর, জলপাইগুড়ি জেলার সুন্দরপাড়ার শিশু বিক্রি।
সরকারের টাকা খরচ করে বিশাল উত্সবের আয়োজন হয়ত ফিকে পরে যায় খবরে শিরোনামে না আসা কিছু ঘটনা। কিন্তু এই নিষ্ঠুর, বাস্তব খবরও সরকারের উদাসীনতাকে হুঁশিয়ারি দেয়। তেমনই এক খবর, জলপাইগুড়ি জেলার সুন্দরপাড়ার শিশু বিক্রি।
এই সুন্দরপাড়ার বাসিন্দা গৌরী দাস ছিলেন গর্ভবতী। প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণা। তার সঙ্গে চিন্তা, যে আসছে, তার দেখভাল হবে কীভাবে? হাসপাতালে ভর্তি হতেও কম পক্ষে একশো টাকা খরচ। সে খরচও দেওয়ার সামর্থ ছিল না গৌরীর। পরিত্রাতা হিসেবে এগিয়ে আসে স্থানীয় এক দালাল। জন্ম নেওয়া সদ্যোজাতর ভবিষ্যত ঠিক করে দেবে সে। আর অনটনে ধুঁকতে থাকা গৌরীদেবীকে পাইয়ে দেবে কিছু টাকা। সঙ্গে প্রসবের খরচ।
রফাটা তড়িঘড়ি হয়ে যায় দালালের সঙ্গে। কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন গৌরী। আগের পক্ষের স্বামীর চারটে সন্তান। আর এ পক্ষের আরও চারটে। স্বামী পালিয়ে গেছে মাস আটেক আগে। বাপের বাড়িতে থাকেন গৌরী। মা ভিক্ষে করেন। কিছু টাকা পেলে সংসারটা সামান্য হলেও বাঁচবে। এই চিন্তা তার নাড়ি থেকে ছিন্ন করল সন্তানকে। টাকা পান গৌরী। তেরো হাজার টাকা। সদ্যোজাতের জন্মের পর। বিনিময় দিতে হয় কোলের ফুটফুটে শিশু। তবে দালাল মারফত গৌরীর সন্তান ওঠে নিঃসন্তান দম্পতির কোলে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য উদ্ধার হয়েছে শিশুটি। কিন্তু নিজের পুত্র সন্তানকে ফেরত নিতে নারাজ মা। কারণ, অভাব। অনটনের সংসারে কীভাবে তিনি দেখভাল করবেন তাঁর সন্তানের?