অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের
অবশেষে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত। সরকারি কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে পারুই থানাকে বীরভূমের এই ডাকসাইটে নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিল আদালত।
অবশেষে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত। সরকারি কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে পারুই থানাকে বীরভূমের এই ডাকসাইটে নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিল আদালত।
চলতি মাসের ১৭ তারিখ পারুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রামে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, নির্দল প্রার্থীদের প্রচারে সাহায্য করলে পুলিসকে বোমা মারুন। কোনও নির্দল প্রার্থী হুমকি দিলে তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়ারও ডাক দেন। এমনকি সেই নির্দল প্রার্থীর উপর চড়াও হতেও বলেন অনুব্রত৷
অনুব্রতর এই মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা কোমর বেঁধে সমালোচনায় নেমে পড়ে।
রীতিমত দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায় তৃণমূল শিবির। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও বীরভূম জেলার পর্যবেক্ষক তথা কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক যেখানে এই মন্তব্যের সরাসরি বিরোধীতা করেন সেখানে মুকুল রায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত নেতারা পক্ষান্তরে অনুব্রতের পাশে দাঁড়ান। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে নির্বাচনী প্রচারে সময় আদরের `কেষ্টা`-র সঙ্গে স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেন।
নির্বাচন কমিশনের তরফেও অনুব্রতর মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়। কমিশনের অনুব্রতের উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় কমিশন। জেলাশাসকও জানান কমিশনের নির্দেশ তিনি পারুই থানাকে জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর পুলিসি আবেদন খারিজ হয়ে যায় সিউড়ি কোর্টে। আদালত জানায় মামলা দায়েরের সময় তথ্য প্রমাণ জমা দেয়নি পুলিস। সেই কারণেই পুলিসের আর্জি খারিজ করল আদালত। সেইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ``মামলা হাল্কা ভাবে নিলে হবে না"। মামলার প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ জমা দিলে, তবেই মামলা শুরু করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন বিচারক।
আদালত অনুব্রতের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলেও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও আসলে সেটা কতখানি কার্যকর হবে সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।