দল পাশে নেই নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের
চরম চাপের মুখে ক্যানিং-এ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত মানিক পাইকের পরিবার। খুনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের চাপে পুলিসের কাছে দায়ের করা অভিযোগে কারও নাম না-দেওয়ার নির্দেশ ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পরিবারের তরফে নির্দিষ্ট নামেই অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার দুদিন বাদেও পুলিস কাউকে ধরতে পারেনি।
চরম চাপের মুখে ক্যানিং-এ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত মানিক পাইকের পরিবার। খুনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের চাপে পুলিসের কাছে দায়ের করা অভিযোগে কারও নাম না-দেওয়ার নির্দেশ ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পরিবারের তরফে নির্দিষ্ট নামেই অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার দুদিন বাদেও পুলিস কাউকে ধরতে পারেনি।
শুক্রবার গভীর রাতে দুস্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক পাইক। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায় মোট ৩টি গুলি চালানো হয়েছে দুদিকের জানলা দিয়ে। ব্যবহার করা হয়েছে দুটি মাস্কেট। দুস্কৃতীরা অত্যন্ত পরিচিত এবং তারা জানত ঠিক কী অবস্থায় মানিক পাইক ঘুমোন। এমনকী দুস্কৃতীরা ওই বাড়িরই মই ব্যবহার করেছিল, জানলা পর্যন্ত উঠে গুলি চালানোর জন্য।
এই ঘটনাতেই ক্যানিং-এর তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীদ্বন্দের চরম অবস্থা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু দলের উপরতলা থেকে এই ঘটনার পরেই প্রবল চাপ আসতে শুরু করে মানিক পাইকের পরিবারের ওপর। এমনকী নির্দিষ্ট নামে যাতে এফআইআর না করা হয় তারও নির্দেশ দেওয়া হয়। জীবনতলা থানার সামনে এনিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যদিও শেষ পর্যন্ত যাবতীয় হুমকি অগ্রাহ্য করে মানিক পাইকের ছেলে মৃদুল পাইক তৃণমূল কংগ্রেসেরই ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনা ঘটলেও এই অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রায় বারো ঘণ্টা বাদে পরদিন বেলা একটা নাগাদ। সেই সুযোগে ফেরার হয় অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে
হাসান মোল্লা-তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ক্যানিং-২ সম্পাদক
আসরাফ মোল্লা-তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ক্যানিং-২ সভাপতি
নজরুল মোল্লা, আনসার হালদার, মুজিবুল হালদার, মজিদ জমাদার এবং দীপঙ্কর নস্কর
পুলিস তদন্ত আরও জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন মানিক পাইক খুন হওয়ার আগে এবং পরে অভিযুক্তরা দীর্ঘক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে। এমনকী ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থান ছিল তাদের। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের উপরমহলের চাপে এফআইআর দেরিতে করায় তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। সোমবার ঘটনাস্থলে তদন্ত গিয়েছিল সিআইডি-র একটি টিম। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নেওয়ায় এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সিআইডি-কে।