বাড়ছে চোরাশিকার, উত্তরবঙ্গে ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম ব্যুরো গঠনের প্রস্তাব সরকারকে
বক্সার জঙ্গলে হাতি চোরাশিকারের ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পরেছে বনকর্তাদের কপালে। যেভাবে হাতির বাসস্থান চিহ্নিত করে, রেইকি করে, বিষ বুলেট প্রয়োগ করে হাতি শিকার করা হয়েছে, তাতে উত্তরপূর্বের পেশাদার চোরাশিকারের ছায়া দেখছেন তাঁরা। শনিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতালের দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তার দুটি দাঁতই কেটে নিয়ে যায় চোরাশিকারিরা। ময়না তদন্তে বিষ বুলেটের চিহ্ন মেলে।
বক্সার জঙ্গলে হাতি চোরাশিকারের ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পরেছে বনকর্তাদের কপালে। যেভাবে হাতির বাসস্থান চিহ্নিত করে, রেইকি করে, বিষ বুলেট প্রয়োগ করে হাতি শিকার করা হয়েছে, তাতে উত্তরপূর্বের পেশাদার চোরাশিকারের ছায়া দেখছেন তাঁরা।
শনিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতালের দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তার দুটি দাঁতই কেটে নিয়ে যায় চোরাশিকারিরা। ময়না তদন্তে বিষ বুলেটের চিহ্ন মেলে।
এই প্রথম নয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পানবাড়ি থেকে হাতির পুরনো দেহাবশেষ উদ্ধারকরেন বনকর্মীরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পএর ফিল্ড ডিরেক্টর রবিন্দর পাল সাইনি জানিয়েছেন দুটি ক্ষেত্রেই মোডাস অপারেন্ডি এক বলে তাঁদের প্রাথমিক অনুমান। ইতিমধ্যেই পুলিস ও বনদফতরের যৌথদল দু`জনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার বক্সা পৌঁছিয়েছেন চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন নবীনচন্দ্র বহুগুণা।
গতবছর অসমে অশান্তির পর বহু মানুষ ব্যাঘ্র প্রকল্প সংলগ্ন কুমারগ্রাম, শামুকতলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। চোরাশিকারিরা উদ্বাস্তুদের ভিড়ে মিশে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন আধিকারিকরা। তাঁদের আশঙ্কা এই বিষয় প্রশাসন নজর না দিলে বিপদের মুখে পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ। চোরাশিকার সম্পর্কে নিশ্চিত বনদফতর উত্তরবঙ্গে ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম ব্যুরো গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে।