বর্ধমান বন্‍ধ-এর প্রভাব সর্বাত্মক

দোকানপাট বন্ধ, বাজার বন্ধ, বন্ধ স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অফিস-কাছারিতেও হাজিরার সংখ্যা কম। আর পাঁচটা বন্‍ধ-এ যে চিত্র ধরা পড়ে, বৃহস্পতিবার সে ছবিই ছিল ২ দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে সিপিআইএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার বর্ধমান জেলা বন্‍ধ-এ।

Updated By: Feb 23, 2012, 10:53 PM IST

দোকানপাট বন্ধ, বাজার বন্ধ, বন্ধ স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অফিস-কাছারিতেও হাজিরার সংখ্যা কম। আর পাঁচটা বন্‍ধ-এ যে চিত্র ধরা পড়ে, বৃহস্পতিবার সে ছবিই ছিল ২ দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে সিপিআইএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার বর্ধমান জেলা বন্‍ধ-এ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটে যান চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
তবে বন‍্ধ‍-এর প্রভাব পড়েনি ট্রেন চলাচলে। সকাল থেকেই বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্‍ধ সমর্থনে একের পর এক মিছিল বের করে সিপিআইএম। বর্ধমান শহর তো বটেই, কাটোয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে মিছিল বের করে সিপিআইএম। বন্‍ধ-এর বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেস।
আসানসোলের বীজপুরে তৃণমূল কর্মীরা বন‍্ধ-এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। পুলিস বাধা দিলে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায়  পুলিস। কাটোয়া শহরে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হয়। বচসা বাধে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। ১২২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দাঁইহাটেও বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ১২জন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিস।
বন্‍ধকে ঘিরে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলেছে। দুর্গাপুরে মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। শ্যামলা কোলিয়ারিতে সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুর্গাপুরের ছত্তিশগণ্ডায় তৃণমূলেরও একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের কুলডিহাতেও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সফল বন্‍ধ-এর জন্য বর্ধমানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা সিপিআইএম সম্পাদক অমল হালদার।

.