দালাল চক্রে জেরবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
স্বাস্থ্যে গভীর অসুখ। রমরমা দালালচক্রের। লম্বা লাইন পেরিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতে চান? দালালকে টাকা দিলেই কেল্লা ফতে। এক্স রে হোক বা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, সবেতেই টাকা চায় দালালচক্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীরাই বলছেন, সর্ষের মধ্যেই ভূতের বাসা। মানতে নারাজ ভারপ্রাপ্ত সুপার।
ওয়েব ডেস্ক: স্বাস্থ্যে গভীর অসুখ। রমরমা দালালচক্রের। লম্বা লাইন পেরিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতে চান? দালালকে টাকা দিলেই কেল্লা ফতে। এক্স রে হোক বা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, সবেতেই টাকা চায় দালালচক্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীরাই বলছেন, সর্ষের মধ্যেই ভূতের বাসা। মানতে নারাজ ভারপ্রাপ্ত সুপার।
লম্বা এই লাইন পেরিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে পৌছতে গেলে ধরতে হবে দালালদের হাত। না হলে আদৌ কি পৌছতে পারবেন? উত্তর অজানা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গোটা উত্তরবঙ্গই শুধু নয়, বিহার থেকেও আসেন প্রচুর রোগী। প্রতিদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে দেখাতে আসেন কমপক্ষে পাঁচ হাজার রোগী। রোগীর ভিড়, লম্বা লাইন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রোগী। অথচ অনেক সময়ই দেখা যায়, পিছনের রোগী আগে ঢুকে পড়ছেন ডাক্তারের চেম্বারে। কীভাবে সম্ভব?
আরও পড়ুন- ভুয়ো কাগজপত্র নিয়ে ডাক্তারি পড়তে এসে ধৃত দুই
খোদ হাসপাতালের কর্মীরাই বলছেন দালালচক্রের রমরমার কথা। অথচ অন্য সাফাই দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত সুপার। টাকা নিয়ে রোগীর লাইনে কারচুপির অভিযোগই শুধু নয়, সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচের টেস্টও দালালের হাতে পড়ে হয়ে যাচ্ছে মূল্যযুক্ত। দালালদের মদতে রোগী সহায়তা কেন্দ্রও বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ।
জাল ছড়িয়ে চারদিকে। কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে খবর পেয়েই পৌছে যান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে প্রশাসন কোথায়? কোথায় নজরদারি? নাকি কোনও গোপন আঁতাঁতেই দালালরাজের এত রমরমা!