ইতিহাসের গল্প বলে বড়কালীর মন্দির

দীপাবলীর আগে এখন সাজো সাজো রব বাঁকুড়ার কালীতলার বড়কালীর মন্দিরে। জনশ্রুতি বলে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে এখানে শ্মশানে কালীর উপাসনা শুরু করেন রঘু ডাকাত। তারপর কালীতলায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী কালিকার আরাধনা শুরু করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। ঐতিহ্যশালী এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও।

Updated By: Nov 10, 2012, 10:23 AM IST

দীপাবলীর আগে এখন সাজো সাজো রব বাঁকুড়ার কালীতলার বড়কালীর মন্দিরে। জনশ্রুতি বলে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে এখানে শ্মশানে কালীর উপাসনা শুরু করেন রঘু ডাকাত। তারপর কালীতলায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী কালিকার আরাধনা শুরু করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। ঐতিহ্যশালী এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও।

সে অনেককাল আগেকার কথা। আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে দ্বারকেশ্বর নদের দক্ষিণ পাড়ে ছিল তত্কালীন বাঁকুড়া শহর। পরে নদের উত্তর পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় শহর। তখন অবশ্য গোটা এলাকা জুড়ে ছিল একাধিক শ্মশান। এমনই এক শ্মশানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে কালী আরাধনা শুরু করেন রঘু ডাকাত। পরে স্বপ্নাদেশে নতুন করে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে কালির আরাধনা শুরু করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। বাঁকুড়ার কালীতলার বড়কালীর মন্দির ঘিরে আজও মুখে মুখে ফেরে এমন আরও অনেক গল্প। কিছু জনশ্রুতি।  কিছু আবার ঐতিহাসিক তত্ত্বও বটে।
 
তবে শুধুই ধর্ম নয়। কালীতলার বড়কালীর মন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে বাংলার ইতিহাসও। বিংশ শতকের শুরুতে এই মন্দির এবং সংলগ্ন বাড়িটিতেই গড়ে ওঠে ব্রিটিস বিরোধী আন্দোলনের আখড়া। ১৯০১ সালে গড়ে ওঠে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যায়ামাগার এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও।
 
তবে সে সব এখন অতীত। যুগের ফেরে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে কালীতলার বড়কালীর মন্দিরের জৌলুস। তবে এখনও যাবতীয় রীতিনীতি মেনে প্রতি অমাবস্যাতেই তন্ত্রমতে পুজো হয় দেবী কালিকার। জৈন দেবী থেকে ডাকাতে কালীর উপাসনা। বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম আঁতুরঘরও বটে। কালীতলার বড়কালীর মন্দির সাক্ষী বহমান সময়ের। অতিতের জৌলুসে ভাঁটার টান পড়লেও তাই এখনও অটুট এই মন্দিরের ঐতিহ্য।

.