শক্তি বাড়ছে বিজেপির, ভাঙছে ঠাকুর পরিবার, উপনির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে বনগাঁ
রাজ্যে শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। সারদা ইস্যুতে চাপে তৃণমূল। ভাঙন ধরেছে ঠাকুর পরিবারে। এই পরিস্থিতিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হতে চলেছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের হালহকিতকত বুঝে বনগাঁ আসনে প্রার্থী ঠিক করতে চলেছে বিজেপি।
তৃণমূল সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুর পর উপনির্বাচন হতে চলেছে বনগাঁ লোকসভা আসনে। রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিচারে এই উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে সারদা চাপে কোণঠাসা তৃণমূলের কাছে আসন ধরে রাখার লড়াই। অন্যদিকে এপ্রিলে পুরভোটের আগে বিজেপির শক্তি পরীক্ষার অ্যাসিড টেস্ট। দুইয়ে মিলে জমজমাট বনগাঁর লড়াই। তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই লোকসভা আসনের বড় অংশের ভোটার মতুয়া সম্প্রদায়ের। স্বাভাবিক ভাবেই প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখছে বিজেপি।
বনগাঁ লোকসভা আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিজেপির কাছে এগারোজনের নাম জমা পড়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন,
ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক বীথিকা মণ্ডল
প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুচারু হালদারের ছেলে শমীক হালদার।
শমীক গত লোকসভা ভোটে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিসি সরকার জুনিয়রের আত্মীয়
আছেন ঠাকুরবাড়ির বিরোধী গোষ্ঠীর লোক হিসেবে পরিচিত কে ডি বিশ্বাস
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অরুণ হালদার
আছেন রাজ্য কমিটির আরেক সদস্য অরবিন্দ বিশ্বাস
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন রঞ্জিত বিশ্বাস
নাম দিয়েছেন বিজেপির আরেক নেতা শৈলেশ বিশ্বাস
রয়েছেন আরও চারজন। পদ্ম শিবিরে পছন্দের বিচারে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে শমীক হালদার। তবে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করে, সেদিকে নজর রাখছে বিজেপি। কপিলকৃষ্ণের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী মমতা ঠাকুর তৃণমূল প্রার্থী হতে চেয়েছেন। কপিলের বিরোধী গোষ্ঠী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুরও তৃণমূলের হয়ে লড়তে চান। ক্ষমতা দখল নিয়ে ঠাকুরবাড়ির অন্তর্কলহ যে জায়গায় পৌছেছে, তাতে বিজেপি বা তৃণমূলের কেউই এই পরিবার থেকে কাউকে প্রার্থী করতে চাইছে না।
যদি মতুয়াদের মধ্যে থেকে কপিলকৃষ্ণের স্ত্রী মমতা ঠাকুর তৃণমূল প্রার্থী হন, তাহলে মঞ্জুলের ছেলে সুব্রত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বনগাঁ আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। দুতিনদিন পরেই বিজেপির নির্বাচনী বৈঠক। কয়েকদিনের মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করে দিল্লিতে নাম পাঠাবে রাজ্য বিজেপি।