গুপ্তধনের লোভে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে খোঁড়াখুঁড়ি, আটক ১৫
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে ওফ ইন্ডিয়ার দায়িত্বে থাকা শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে গুপ্তধনের লোভে খোঁড়াখুঁড়ি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁদ মন্দিরে। খবরটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস ও প্রশাসন। তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি মন্দির সংস্কারের কাজে যুক্ত পনেরজনকে আটক করেছে পুলিস।
ব্যুরো: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে ওফ ইন্ডিয়ার দায়িত্বে থাকা শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে গুপ্তধনের লোভে খোঁড়াখুঁড়ি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁদ মন্দিরে। খবরটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস ও প্রশাসন। তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি মন্দির সংস্কারের কাজে যুক্ত পনেরজনকে আটক করেছে পুলিস।
পর্যটক টানতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ নগরী হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াও বিষ্ণুপুরের পাঁচটি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়। কালাচাঁদ মন্দির তারমধ্যে একটি। মন্দির চত্বরেই রয়েছে আইএসআইয়ের কার্যালয়। নিরাপত্তারক্ষীদেরও যথেষ্ট কড়াকড়ি। কিন্তু এসবকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। গাঁইতি, শাবল, কোদাল দিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে খোঁড়াখুড়ি। ঘটনায় অবাক স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, গুপ্তধনের লোভেই গর্ভগৃহের মেঝে খোঁড়াঘুঁড়ি করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দফতরের নাকের ডগায় কিভাবে এতসময় ধরে চলল অপারেশন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।