চাপে পড়ে পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা রুজু বীরভূম জেলা পুলিসের
মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল বীরভূম জেলা পুলিস। প্রচন্ড মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। মধ্যরাতে এক জেলার পুলিস অন্য জেলায় গিয়ে মহিলার ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিস। ক্যামেরার সামনে বা টেলিফোনে ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিস সুপার। চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে শুধু জানান, সরকারিভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এফআইআর দায়েরের অনেক আগেই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফেলেছেন জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া।
ওয়েব ডেস্ক: মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল বীরভূম জেলা পুলিস। প্রচন্ড মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। মধ্যরাতে এক জেলার পুলিস অন্য জেলায় গিয়ে মহিলার ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিস। ক্যামেরার সামনে বা টেলিফোনে ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিস সুপার। চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে শুধু জানান, সরকারিভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এফআইআর দায়েরের অনেক আগেই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফেলেছেন জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া।
স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিস। পাড়ুই থানায় এই অভিযোগ জানাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন হাইফুন্নেসা বিবির স্বামী শাবুর শেখ। তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারেন তিনি। এফআইআরে নাম রয়েছে তিনজন পুলিসকর্তা সহ পাঁচ তৃণমূল নেতার নাম।
রাতভর নির্মম অত্যাচারের পর আধমরা হাইফুন্নেসাকে ইলামবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রবিবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন। মহিলার দু হাতের সব কটি আঙুলই ভেঙে গিয়েছে। বুকে পেটে ও কোমরেও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্কটজনক অবস্থায় মহিলাকে প্রথমে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার রাতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে মহিলার ওপর নির্মম অত্যাচার চালাল পুলিস। শুধু তাই নয়, রাতভর বেধড়ক মারধরের পর মহিলার সারা শরীরে ঘষে দেওয়া হয় বিছুটি পাতা। কাঠগড়ায় বীরভূমের পাড়ুই, ইলামবাজার ও বোলপুর থানার পুলিস। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মারার ঘটনায় এই তিন থানার পুলিস খুঁজছে সাত্তোরের বিজেপি কর্মী শেখ মিঠুনকে। অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীর খোঁজে শনিবার গভীর রাতে বর্ধমানের কাঁকসায় মিঠুনের কাকিমা হাইফুন্নেসা বিবির বাপের বাড়িতে হাজির হয় পুলিস। দলে ছিলেন না কোনও মহিলা পুলিসকর্মী। মিঠুন কোথায়, তা জানতেই নাকি এই নির্মম অত্যাচার।
জঙ্গলের গাছে মহিলাকে বেঁধে ফেলা হয়। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় মারধর। সব শেষে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়া। রবিবার সকালে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে সে বিবরণ দিতে গিয়ে রীতিমতো শিউড়ে উঠছিলেন হাইফুন্নেসা বিবি।
মহিলার ওপর পুলিসি নির্যাতনের ঘটনায় সব মহলে নিন্দার ঝড়। আজ বীরভূমের সবকটি থানায় ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বামেরা। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এদিকে আজই সিউড়ি যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এ ঘটনাকে সামনে রেখে বাংলা বনধ ডাকতে পারে কংগ্রেস। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।