তৃণমূলের আতঙ্কে কলেজ যেতে পারছেন না অধ্যাপকরা

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভাঙড় কলেজের অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের হাতে অধ্যাপিকা নিগ্রহের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার কলেজেই যাননি নিগৃহীত অধ্যাপিকা দেবযানী দে-সহ বেশিরভাগ অধ্যাপক।

Updated By: Apr 26, 2012, 12:51 PM IST

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভাঙড় কলেজের অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের হাতে অধ্যাপিকা নিগ্রহের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার কলেজেই যাননি নিগৃহীত অধ্যাপিকা দেবযানী দে-সহ বেশিরভাগ অধ্যাপক। এই পরিস্থিতিতে পুলিসের সাহায্য নিতেও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
এদিন ওয়েবকুটার তরফে প্রশাসনের সব স্তরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তির দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যেপালের সঙ্গে দেখা করে একই দাবি জানাবেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।
অন্যদিকে, কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে ভাঙড় কলেজের ছাত্র সংসদ কলেজের দেওয়ালে পোস্টারিং করে। পোস্টারের ছবি তুলতে গেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের রোষের মুখে পড়েন সাংবাদিকরাও। রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকে।

পাশাপাশি এদিন আরাবুলের নেতৃত্বে এলাকায় একটি মিছিলের আয়োজনও করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাও। অধ্যাপিকা নিগ্রহের ঘটনার জেরে তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে বলে বুধবারই ভাঙর থানায় অধ্যাপিকা দেবযানী দে-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও।
ভাঙড় কলেজে ওয়েবকুটার জেনারেল বডির নির্বাচন ঘিরে অধ্যাপিকাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই কলেজে ওয়েবকুটার জেনারেল বডির নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। কলেজের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, তাঁর পছন্দ মতো ৫ শিক্ষিকাকে পরিচালন সমিতির সদস্য করতে হবে বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম। এতে রাজি না-হওয়ায় অধ্যাপিকা দেবযানী দে-কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আরাবুল ইসলাম ওই অধ্যাপিকাকে লক্ষ্য করে বোতল ছুঁড়ে মারেন বলেও অভিযোগ।
এরপর বুধবার ফের কলেজ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হস্তক্ষেপে ঘেরাও তুলে নেন তৃণমূল সমর্থকরা। তবে ভাঙড় থানার পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।

.