মোদী সরকারের রেল বাজেটে বাংলার ঝুলিতে প্রাপ্তি প্রায় শূন্য
মোদী সরকারের প্রথম রেল বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি কার্যত শূন্য। ঘোষিত মোট ৫৮টি ট্রেনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে মাত্র দুটি। একটি ট্রেনের যাত্রাপথ বাড়ানো হয়েছে। গোটা বাজেটে আর কোথাও বাংলার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। বাজেটের পরেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি এত বঞ্চনা এর আগে কখনও হয়নি।
মোদী সরকারের প্রথম রেল বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি কার্যত শূন্য। ঘোষিত মোট ৫৮টি ট্রেনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে মাত্র দুটি। একটি ট্রেনের যাত্রাপথ বাড়ানো হয়েছে। গোটা বাজেটে আর কোথাও বাংলার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। বাজেটের পরেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি এত বঞ্চনা এর আগে কখনও হয়নি।
শালিমার-চেন্নাই প্রিমিয়াম
পারাদ্বীপ-হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া-বেলদা মেমু ট্রেন জলেশ্বর পর্যন্ত।
গোটা রেল বাজেটে মাত্র এই তিন বারই উচ্চারিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। বাজেটে জনসাধারণ, প্রিমিয়াম, এসি এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট ৫৮টি নতুন ট্রেন ঘোষণা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র দুটি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
শালিমার-চেন্নাই প্রিমিয়াম এসি এক্সপ্রেস।
এবং পারাদ্বীপ-হাওড়া এক্সপ্রেস
যাত্রাপথ বাড়ানো হয়েছে একটি ট্রেনের।
হাওড়া-বেলদা মেমু ট্রেন এখন থেকে যাবে জলেশ্বর পর্যন্ত।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম রেল বাজেটে বহু আকর্ষণীয় প্রস্তাব থাকলেও রাজ্য পায়নি তার কিছুই।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে উচ্চ-গতির রেল যোগাযোগ গড়তে হীরক চতুর্ভুজের ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় নেই কলকাতা।
বহু প্রতীক্ষিত বুলেট ট্রেনই হোক, বা হাই স্পিড ট্রেন কোনওটাই রাজ্যের ভাগে আসেনি। একাধিক ট্যুরিস্ট ট্রেন ঘোষণা করা হলেও সেখানেও ব্রাত্য বাংলা।
এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, নতুন কোনও প্রকল্প নয়, বরং পুরনো যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ বাকি পড়ে রয়েছে, তা শেষ করতে হবে। ঘোষিত প্রকল্পগুলির মধ্যে যেগুলির কাজ কিছুই এগোয়নি, সেগুলির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা করবে রেল বোর্ড।
একদিকে অপ্রাপ্তি, বঞ্চনার অভিযোগে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সুর ধরা পড়লেও, আরেকপক্ষের মত নতুন করে আর ঘোষণা নয়, বরং পরিষেবা উন্নতির দিকেই জোর দিক রেল।