স্মৃতি হারানো রোগীকে আগলে, বসিরহাট হাসপাতালে মানবিকতার নজির
সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে যখন ভুরি ভুরি অভিযোগ। তখনই উল্টো ধরা পড়ল বসিরহাট হাসপাতালে। নজির গড়ল স্মৃতি হারানো এক রোগীকে আগলে রেখে। তাঁকে পরিবারের কাছে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে।
ওয়েব ডেস্ক : সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে যখন ভুরি ভুরি অভিযোগ। তখনই উল্টো ধরা পড়ল বসিরহাট হাসপাতালে। নজির গড়ল স্মৃতি হারানো এক রোগীকে আগলে রেখে। তাঁকে পরিবারের কাছে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে।
আসমের গোটা তেজপুর জানত মেঘনাদ আর নেই। মেঘ পেরিয়ে তারার দেশে তাঁর নতুন ঠিকানা। সেই ঠিকানায় আর খোঁজ মেলে না। তাই সাদা শাড়িতে বৈধব্য এঁকে মেঘনাদের স্ত্রী রুপালি দোহাই দিয়েছিল ভাগ্যকে। এক বছর পর খোঁজ মিলল।
অসম থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মিনাখাঁয় কাজের সন্ধানে এসেছিলেন তেজপুর থানার টিকিয়াঝুলি ধিরাইবাগান গ্রামের মেঘনাদ মুর্মু। ২০১৬-র ৭ জুলাই। মারাত্মক জখম অবস্থায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে মেঘনাদ মুর্মুকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। আর খোঁজ নেয়নি। হাসপাতালে জ্ঞান ফিরেছিল, কিন্তু স্মৃতি হারিয়েছিল মেঘনাদ। তারপর...
ধীরে ধীর স্মৃতি ফেরে মেঘনাদের। হাসপাতালের নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পরম মমতায় আগলে রেখেছিল মেঘনাদকে। প্রায় এক বছর মেঘনাদ জানায় তাঁর বাড়ি অসমের তেজপুরে। তেজপুর থানার ওসি হোয়াটসঅ্যাপে মেঘনাদের মা ও স্ত্রীর ছবি পাঠায়। চিনতে পারে মেঘনাদ। কেঁদে ফেলে স্ত্রীর বৈধব্য পোষাকে। কথা হয় মা ও স্ত্রীর সঙ্গে। এবার ফিরে যাচ্ছে মেঘনাদ।
আরও পড়ুন, সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু নিয়ে আজই রিপোর্ট দিতে পারে তদন্ত কমিটি