কাকার কাছে খোশ মেজাজে অভিজ্ঞান, ঐশ্বর্য
অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যর কুলটির বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া। প্রায় এক বছর নরওয়েতে আটকে থাকার পর শুক্রবার বিকেলে বাড়ি পৌঁছেছে দুই শিশু। নাতি, নাতনিদের কাছে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকুল ছিলেন দাদু, দিদিমা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেই আশা বাস্তবায়িত হওয়ায় তাঁরা খুশি।
অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যর কুলটির বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া। প্রায় এক বছর নরওয়েতে আটকে থাকার পর শুক্রবার বিকেলে বাড়ি পৌঁছেছে দুই শিশু। নাতি, নাতনিদের কাছে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকুল ছিলেন দাদু, দিদিমা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেই আশা বাস্তবায়িত হওয়ায় তাঁরা খুশি। কুলটির রানিতলার বৃন্দাবন গলির বাড়ি এখন সরগরম। প্রতিবেশীদের ভিড়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের আসা যাওয়া। ক্যামেরার ফ্ল্যাশগানের ঝলসানি। এত ব্যস্ততা, হইহল্লার মাঝেও নির্বিকার অভিজ্ঞান আর ঐশ্বর্য। দাদু, দিদা আর কাকুর আদরের আশ্রয়ে, তারা এখন খোশ মেজাজে।
দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর নরওয়ে থেকে ফিরিয়ে আনা হলেও অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যকে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা কিন্তু কাটেনি আদৌ। নরওয়ের কোর্টের নির্দেশ বক্তব্য, শিশুদুটির মা সাগরিকা মানসিক ভাবে সুস্থ নন। ফলে তাঁর পক্ষে সন্তানদের ঠিকমত দেখভাল করা সম্ভব নয়। শিশুদুটিকে তাদের পরিবারের কাছে কাছে ফিরিয়ে দিলেও তাদের দায়িত্ব কোনভাবেই মায়ের হাতে না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ের আদালত।
বুধবার কাকা অরুণাভাস ভট্টাচার্যর সঙ্গে দেশে ফেরার পর থেকে কাকার সঙ্গেই ছিল শিশুদুটি। কিছুক্ষণের জন্য দুই সন্তানকে কাছে পান শিশুদের মা সাগরিকা। তবে মাত্র ঘণ্টা তিনেক। তারপরেই নিজের সন্তানদের ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে সাগরিকাকে। তিনি চান, অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্য থাকুক তাঁর কাছেই। কারণ, শিশুরা বাবা মায়ের কাছেই সবথেকে ভাল থাকে।
কিন্তু, সন্তানদের কাছে পাওয়া এখনও রয়েছে বেশকিছু আইনি জটিলতা। তার থেকেও বড় জট তৈরি হয়েছে সাগরিকার শ্বশুরবাড়ির তরফে। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনওভাবেই শিশুদুটির দায়িত্ব মায়ের হাতে ছাড়তে নারাজ। আর এই সব কিছুর মধ্যে সবথেকে বেশি হতাশ সাগরিকার বাবা মনতোষ বাবু। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যাবে সেই বিষয়ে সাগরিকার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। সব মিলিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা।