দুর্ঘটনায় আর হয়ত হাঁটতেই পারবে না ছোট্ট সারন্যা, অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল পুলিসের

একটা দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে হাওড়া দাসনগরের বাসিন্দা ছ বছরের ছোট্ট সারন্যার জীবন। আপাতত শয্যাশায়ী সারন্যা। অভিযোগ, ন্যায়বিচার দূর অস্ত, যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে অভিযুক্তের পক্ষেই সওয়াল করছে পুলিস।  

Updated By: Mar 16, 2015, 04:03 PM IST
দুর্ঘটনায় আর হয়ত হাঁটতেই পারবে না ছোট্ট সারন্যা, অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল পুলিসের

ব্যুরো: একটা দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে হাওড়া দাসনগরের বাসিন্দা ছ বছরের ছোট্ট সারন্যার জীবন। আপাতত শয্যাশায়ী সারন্যা। অভিযোগ, ন্যায়বিচার দূর অস্ত, যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে অভিযুক্তের পক্ষেই সওয়াল করছে পুলিস।  

ন্যায়বিচারের আশায় প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে সারন্যার পরিবার। মায়ের সঙ্গে সিঙ্গুরে বিয়ে বাড়ি গিয়েছিল সারন্যা সামন্ত। রাস্তার ধারের স্টলে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিল ওই শিশু। আচমকাই তাকে ধাক্কা মারে দ্রুত গতিতে আসা একটি বাইক। পিষে দেয় ছোট্ট শিশুটিকে।  পালিয়ে যায় বাইকের মদ্যপ চালক। কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও আপাতত শয্যাশায়ী সারন্যা সামন্ত।

জীবনে কোনও দিনও সারন্যা আর নিজের পায়ে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন চিকিত্‍সকেরা। ছোট্ট শিশুর ভবিষ্যত্‍ ভাবনা ঘুম কেড়েছে পরিবারের।

দুর্ঘটনার জের কাটিয়ে ওঠার আগেই সরন্যার বাবা-মাকে সম্মুখীন হতে হয় এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। সুবিচারের আশায় দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে সিঙ্গুর থানায় ছুটে যান সারন্যার বাবা সুব্রত সামন্ত।  তবে আইনি সহায়তার বদলে থানায় দাঁড়িয়েই অভিযুক্তের হুমকি শুনতে হয় তাঁকে।

পুলিসি হেনস্থার পরও হাল ছাড়েননি সুব্রত সামন্ত। কখনও জেলা শাসক তো কখনও পুলিস সুপার, ছুটে গেছেন স্থানীয় এক মন্ত্রীর কাছেও। কাজের কাজ হয়নি কিছুই। কীভাবে মিলবে ন্যায়? একটাই এখন একমাত্র প্রশ্ন সারন্যার পরিবারের।

 

.