অপুষ্টিতে মৃত্যু মিছিল বন্ধ চা-বাগানে
এরাজ্য থেকে মুছে যায়নি আমলাশোল। বেশ কয়েক বছর আগে আমলাশোলে অনাহারে এক আদিবাসীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
এরাজ্য থেকে মুছে যায়নি আমলাশোল। বেশ কয়েক বছর আগে আমলাশোলে অনাহারে এক আদিবাসীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। জঙ্গলমহল সহ নানা পিছিয়ে পড়া এলাকায় অধিবাসীদের দুবেলা দুমুঠো খাবার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছিল তত্কালীন বাম সরকার। তারপর অনেক দিন অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে। অর্ধাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যু হলেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহলে অর্ধাহার ঘোচাতে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ব্রাত্য রাজ্যের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এলাকা। জলপাইগুড়ির আলিপুরদুয়ার মহকুমার ঢেকলাপাড়া চা-বাগানে গত ৬ মাসে ৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অনাহারে, অর্ধাহারে। ২০০৫ সাল থেকে বন্ধ চা-বাগানটি। বাগানের দেড় হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিকদের ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই ভাতা নিয়মিত পাচ্ছে না পরিবারগুলি। ফলে আধপেটা খেয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা।
৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছেন আরও ১৫ জন। মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শনিবার সকালেই ওই চা-বাগানে পৌঁছে গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলিকে চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ব্যবস্থা তো কয়েকদিনের জন্য। আগেও শ্রমিকের মৃত্যুর পর চাল বিলি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায় চাল বিলি। ফলে ফের দুর্ভিক্ষের গ্রাসে চলে যায় ঢেকলাপাড়া চা-বাগানের লেবার লাইন।