বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ৫

বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৫ জনকে। ধৃতদের নাম তাপস সামন্ত, উদয় মণ্ডল,বাবু সেন,নারায়ন সামন্ত, রানা মুখার্জি। বর্ধমানের মির্জাপুর থেকে সোমবার ভোরে সিআইডি ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

Updated By: Mar 19, 2012, 10:21 AM IST

বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৫ জনকে। ধৃতদের নাম তাপস সামন্ত, উদয় মণ্ডল,বাবু সেন,নারায়ন সামন্ত, রানা মুখার্জি। বর্ধমানের মির্জাপুর থেকে সোমবার ভোরে সিআইডি ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত ৫ জনই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিস। সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনার পর থেকেই এরা নিখোঁজ ছিলেন।  এই নিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ১১ মার্চ মির্জাপুর এলাকায় তল্লাসি অভিযান চালিয়ে মন্টু ঘোষ ও নবকুমার রায় নামে অভিযুক্ত আরও ২ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছিলেন সিআইডি ডিআইজি অপারেশনস কে জয়রামন। তারও আগে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। বর্ধমান কাণ্ডে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ২৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে আয়োজিত একটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিআইএম নেতা কমল গায়েন। আচমকাই সেই মিছিলে হামলা চালায় সশস্ত্র তৃণমূল বাহিনী। মুখ থেঁতলে, কুপিয়ে খুন করা হয় প্রদীপ তা-কে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় কমল গায়েনরও। ঘটনার দিনই ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও তাদের নিজের হেফাজতে না রেখে জেল হেফাজতে পাঠায় পুলিস। ৩ মার্চ পর্যন্ত নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ না হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় তিরষ্কার করে কলকাতা হইকোর্ট। তদন্তভার দেওয়া সিআইডিকে। পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয় এক ঘণ্টার মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। এরপরই ঘটনার তদন্তকারী সাব ইন্সপেক্টর দুর্গাদাস ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে বর্ধমান জেলা পুলিস। অভিযোগ, হাইকোর্টে মমলার শুনানির আগেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছিলেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য। কিন্তু তা কেস ডায়েরির সঙ্গে যুক্ত করেননি তিনি।

.