অসহায় মহিলাদের আলোর দিশায় পৌঁছে দিতে ব্রতী তিন কন্যা
কোথাও কোনও মহিলা নিগ্রহের শিকার? পুলিস তটস্থ। এই বোধহয় নিগৃহীতার জন্য দরবার করতে হাজির হবেন রুনু। বিপদের মধ্যে থেকে মহিলাকে তুলে নিয়ে আলোর দিশা দেখাবেন রুনু এবং তাঁর দুই সঙ্গী। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় রুনুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ওয়েব ডেস্ক: কোথাও কোনও মহিলা নিগ্রহের শিকার? পুলিস তটস্থ। এই বোধহয় নিগৃহীতার জন্য দরবার করতে হাজির হবেন রুনু। বিপদের মধ্যে থেকে মহিলাকে তুলে নিয়ে আলোর দিশা দেখাবেন রুনু এবং তাঁর দুই সঙ্গী। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় রুনুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অল্প বয়সেই বিয়ে। শ্বশুরবাড়ির নিগ্রহ। লড়াইটা তখন থেকেই শুরু। প্রতিদিনের যুদ্ধে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে রুনু বুঝতে পারেন, এই সমাজের অনেক মেয়ে এখনও একা। তাই তাঁদের লড়াইয়েও সহ-যোদ্ধা হওয়ার মন্ত্রে তখন থেকেই দিক্ষিত হয়েছেন রুনু।
আজ রুনু পাশে পেয়েছেন আরও দুজনকে। তাঁরাও জীবনে লড়াই করতে করতে পাশে পেয়েছেন রুনুকে। রুনুর মতো তাঁরাও দাঁড়াতে চান নির্যাতিতাদের পাশে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবিকার হয়ে এখন কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার ৪০টি থানা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই তিনজন।
এই তিন কন্যার প্রকল্পের পোশাকি নাম আলোর দিশা। সংসার ও সংসারের গণ্ডির বাইরে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। নির্যাতিতাদের পাঠ দিচ্ছেন কীভাবে আইনি সাহায্য মিলবে, অধিকার ফিরে পেতে কোথায় দরবার করতে হবে। এ সব নানা তথ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মহিলাদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন আলোর দিশারিরা।