স্কুলে হামলার শিকার নিরীহ পড়ুয়ারা, ফিরে দেখা ইতিহাসের এমনই কিছু কালো অধ্যায়
ইতিহাসের পাতায় ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ চিরকালের মতো হয়ে থাকবে এক কালো দিন। পাকিস্তানে সেনা স্কুলে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। এর আগেও বহুবার আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছে নিরীহ স্কুল পড়ুয়ারা। রচনা হয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এরকমই কালো কিছু অধ্যায়ের। ফিরে দেখা তেমনই কিছু কালো দিন-
ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাসের পাতায় ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ চিরকালের মতো হয়ে থাকবে এক কালো দিন। পাকিস্তানে সেনা স্কুলে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। এর আগেও বহুবার আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছে নিরীহ স্কুল পড়ুয়ারা। রচনা হয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এরকমই কালো কিছু অধ্যায়ের। ফিরে দেখা তেমনই কিছু কালো দিন-
কলন স্কুলে হামলায় ১১ জনের মৃত্যু, আহত ২২
১১ জুন, ১৯৬৪,- হাতে ইনসেক্টিসাইড স্প্রে, বর্শা ও ভোঁতা দা নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে ৪২ বছরের ওয়াল্টার সেফার্ট। মাঠে খেলছিল স্কুলের পড়ুয়ারা। হঠাত্ই গুলি চালায় ওয়াল্টার। এরপর দা দিয়ে ক্লাস ঘরের জানলা ভেঙে ভিতরেও গুলি চালায়। ৮ জন শিশু, ২ শিক্ষিকার মৃত্যু হয় সেখানেই। ২০ জন পড়ুয়া ও ২ শিক্ষিকা বেচে থাকেন গুরুতর জখম নিয়ে। পরদিন পুলিস হেফাজতে সায়ানাইড পিল খেয়ে আত্মহত্যা করে ওয়াল্টার।
ইকোল পলিটেকনিকে হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৪
৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৯- কানাডার ইতিহাসে সবথেকে ঘৃণ্য হামলাগুলির একটি ইকোল পলিটেকনিক হামলা। মন্ট্রিয়লের ইকোল পলিটেকনিক স্কুলে ঢুকে ১৪ জন মহিলাকে হত্যা করে ২৫ বছরের মার্ক লেপিন। আহত হয় ১৩ জন। স্কুলের মধ্যেই আত্মঘাতী হয় লেপিন। মৃত্যুর পর পাওয়া যায় লেপিনের চিঠি। যাতে লেখা ছিল ফেমিনিজমের প্রতি ঘৃণাতেই এই হ্ত্যাকাণ্ড।
কলম্বিন হাই স্কুলে হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু, আহত ২৪
২০ এপ্রিল, ১৯৯৯- কলারোডোর লিটলটনে কলম্বিন হাই স্কুলে ঢুকে দুজন পড়ুয়া হত্যা করে অন্য ১২ পড়ুয়াকে। যাদের সকলেরই বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। হত্যা করা হয় এক শিক্ষককেও। আহত হয় ২৪ জন। এরপরই আত্মহত্যা করে দুই হত্যাকারী এরিক হ্যারিস ও ডিলান ক্লেবোল্ড।
টেক্সাস ইউনিভার্সিটি ক্লক টাওয়ারে হামলায় ১৮ জনের মৃত্যু, আহত ৩১
১ অগাস্ট, ১৯৬৬- নিজের স্ত্রী ও মহিলাকে খুন করার পর চার্লস হোয়াইটম্যান টেক্সাস ইউনিভার্সিটির অস্টিন টাওয়ারের ওপর থেকে ৯৬ মিনিট ধরে গুলি বর্ষণ করে। ১৫ জনের মৃত্যু ও ৩১ জন আহত হওয়ার পর পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয় হোয়াইটম্যানের। আহন ডেভিড গানবি এই ঘটনার ৩৫ বছর পর মারা যান। এই দীর্ঘ সময় ডায়লিসিসের সাহায্যে বেঁচে ছিলেন তিনি।
ডানব্লেন হামলায় ১৮ জনের মৃত্যু
১৩ মার্চ, ১৯৯৬- বেকার যুবক ও স্কাউট নেতা থমাস হ্যামিলটন ডানব্লেন প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে পড়ে। হাতে দুটো ৯ এমএম পিস্তল ও দুটো ম্যাগনাম রিভলভর। ১৬ জন শিশু ও শিক্ষককে হত্যা করে হ্যামিলটন। এই ঘটনার পর থেকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ হয়ে যায় হ্যান্ডগান।
এরফুর্টে হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু, আহত ৭
২৬ এপ্রিল, ২০০২- জার্মানির এরফুর্টের এক স্কুলে হঠাত্ই ঢুকে পড়ে স্কুলেরই বহিষ্কৃত এক ছাত্র। মুখ ঢাকা ছিল কালো কাপড়ে। ক্লাসঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে ১৪ জন শিক্ষক, দুই ছাত্রী ও এক পুলিসকর্মীকে। এরপর আত্মঘাতী হয় আততায়ী।
মালটে স্কুলে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ৬০ জন আহত
১৫ মে, ১৯৭৪-ইজরায়েলের মালটে দেশের ২৬তম স্বাধীনতা দিবসে লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সদস্যরা। হামলায় ২২ জন ধর্মিক হাইস্কুল পড়ুয়া নিহত হন। আহতের সংখ্যা ছিল ৬০।
ভার্জিনিয়া টেক স্কুলে হামলায় ৩২ জনের মৃত্যু
১৬ এপ্রিল, ২০০৭- মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার হামলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাকসবার্গে টেকনোলজি ক্যাম্পাসে। আততায়ী সেং-হুই চো ৩২ জনকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ স্কুল হামলা।
বাথ স্কুলে হামলায় ৪৫ জনের মৃত্যু, আহত ৫৮
১৮ মে, ১৯২৭- মিশিগানের বাথ শহরে স্কুলে হামলা চালায় স্কুলের প্রাক্তন বোর্ড সদস্য অ্যান্ড্রু কেহো। মৃত্যু হয় ৪৫ জনের, আহত হয় ৫৮ জন। আত্মঘাতী হয় কেহো।
বেলসন স্কুলে মৃত্যু ৩৮৬ জনের, এর মধ্যে ৩১ জন পণবন্দি, ৭০০ জনের বেশি জখম
১ সেপ্টেম্বর, ২০০৪- বেলসনের স্কুল নাম্বার ওয়ানে ১২০০ জন পড়ুয়াকে পণবন্দি করে রাখা হয়। তৃতীয় দিনে রাশিয়ার সিকিউরিটি ফোর্স ও বন্দুকবাজদের গুলির লড়াই শুরু হয়।