রাশিয়ার মদতে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা লোপাট করছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ, দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার মদতে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা  ইউক্রেনে মালয়েশীয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ লোপাট করছে। অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলতেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে  মন্তব্য করেছে ইউক্রেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ক্যাশ, ক্রেডিট কার্ড, মূল্যবান জিনিস লুটপাট চলছে নির্বিচারে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দলকে ঘটনাস্থলে যেতে  দেওয়া হচ্ছে না বলেও ইউক্রেনের অভিযোগ। রাশিয়ার নিন্দা করেছে অস্ট্রেলিয়া।

Updated By: Jul 19, 2014, 10:16 PM IST
রাশিয়ার মদতে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা লোপাট করছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ, দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেন: রাশিয়ার মদতে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা  ইউক্রেনে মালয়েশীয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ লোপাট করছে। অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলতেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে  মন্তব্য করেছে ইউক্রেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ক্যাশ, ক্রেডিট কার্ড, মূল্যবান জিনিস লুটপাট চলছে নির্বিচারে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দলকে ঘটনাস্থলে যেতে  দেওয়া হচ্ছে না বলেও ইউক্রেনের অভিযোগ। রাশিয়ার নিন্দা করেছে অস্ট্রেলিয়া।

ইউক্রেন ভূখণ্ডে বিমান ধ্বংস কাণ্ডে ফের রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলল ইউক্রেন। রাশিয়ার সাহায্যেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ পন্থী বিদ্রোহীরা। শনিবার সরকারি বিবৃতিতে এমনই দাবি ইউক্রেনের। শুধু তাই নয়,যে মিসাইল লঞ্চার থেকে মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল, রাশিয়া সেটিও সরিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। বিদ্রোহীরা কয়েকটি দেহও সরিয়ে ফেলেছে। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে থেকে আসল ছবি আড়াল করতে পর্যবেক্ষকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।

শুধু ইউক্রেন নয়, একই অভিযোগ করেছেন ইউরোপের একটি প্রতিনিধিদল। অর্গানাইজেশন ফর দ্য সিকিউরিটি  অ্যান্ড কো -অপারেশন ইন ইউরোপ অর্থাত্‍ ওএসসিই-র সদস্যরাও বলেছেন, তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দুদিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি সব দেহ।ফলে দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে চলছে লুটপাট। ক্যাশ,ক্রেডিট কার্ড, মূল্যবান জিনিস লুঠ করছে বিদ্রোহীরা। শুক্রবার এই কাণ্ডের জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দুষেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামার এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কোনও ধরনের তদন্তের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী করে এমন অভিযোগ করল সেই প্রশ্ন তুলেছেন পুতিন। রাশিয়ার এই কড়া জবাবের পরেও অবশ্য সমালোচনার ঝড় বন্ধ হয়নি। হামলার জন্য এদিন রাশিয়াকেই দায়ী করেছে অস্ট্রেলিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। দুজনেই বিমানধবংস কাণ্ডে আন্তর্জাতিক তদন্তের বিষয়ে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

 

.