ফাস্টেস্ট ট্রেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড

এক্কেবারে চিনা প্রযুক্তি। ছোটে উল্কার গতিতে। চিনের প্রয়োজন অনুসারে এই প্রথম তৈরি হল এক অভিনব ট্রেন। যার স্বত্ত্ব শুধুমাত্র চিনের। ঘণ্টায় ৪২০ কিলোমিটার বেগে ছোটা ট্রেন বানানো ওদের বাঁ হাতের খেল। এমনটাই দাবি চিনের।

Updated By: Aug 16, 2016, 11:39 PM IST
ফাস্টেস্ট ট্রেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড

ব্যুরো: এক্কেবারে চিনা প্রযুক্তি। ছোটে উল্কার গতিতে। চিনের প্রয়োজন অনুসারে এই প্রথম তৈরি হল এক অভিনব ট্রেন। যার স্বত্ত্ব শুধুমাত্র চিনের। ঘণ্টায় ৪২০ কিলোমিটার বেগে ছোটা ট্রেন বানানো ওদের বাঁ হাতের খেল। এমনটাই দাবি চিনের।

দ্রুতগতির ট্রেন বানানো চিনের কাছে এখন জলভাত। বাঁ হাতের খেল। তা না হলে এমন ট্রেন ট্র্যাকে নামানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এই ট্রেনে চেপে যাত্রীরা বেজায় খুশ। আর যাত্রীদের খুশি করাই তো চিনা রেল কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব।সেই দায়িত্ব পালন করায় একশোয় একশো চিনা রেল। কী এমন হাতিঘোড়া বানিয়েছে চিন? শুনলে রীতিমতো চমকে উঠবেন।

চালকের কেবিনে গতির কাঁটাটা যখন তিনশোর ঘর ছোঁয়, তখন তা দেখলে সাধারণ মানুষের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হতেই পারে। তবে স্বস্তি একটাই, ট্রেনটা আপনাকে চালাতে হবে না। আপনি শুধু দিব্যি আয়েশ করে বসবেন আর নিমেষে পৌছে যাবেন গন্তব্যে। ভাবছেন তো, এই গতিতে ট্রেন চললে যদি ঘটে যায় মারাত্মক অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে যায়! ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আপনাআপনি কমে যাবে ট্রেনের গতি।

হালকা, মায়াবী নীল আলোয় ভরে থাকে গোটা কম্পার্টমেন্ট। বসলে মনেই হবে না কোনও ট্রেনে বসে আছেন। মনে হবে বুঝি, বাড়ির সোফায় বসে স্বপ্নসফরে বিচরণ করছেন। ঠিক যেন ঘুম ঘুম ক্লাসরুম। শুধু তাই নয়, ওয়াশরুম, ওয়াইফাই, কী নেই! চায়না অ্যাকাডেমি অফ রেলওয়ে সায়েন্সেসের প্রধান ওয়াং ইউমিং কী বলেছেন, জানেন? তাঁর দাবি, দ্রুতগতির ট্রেন বানানোর জ্ঞানটা ওঁদের এতটাই বেশি যে, অন্য কোনও দেশের যে কোনও দাবি মেটানোটা ওঁদের কাছে নেহাতই বাঁ হাতের খেল।

সত্যি, প্রযুক্তির দুনিয়ায় এই ঔদ্ধত্য বোধহয় চিনকেই মানায়।

 

.