করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে ৮০০ কোটি ডলার দিচ্ছে চিন-সহ গোটা বিশ্ব, উল্টো পথে হাঁটল আমেরিকা
যে ৮০০ কোটি ডলার সংগৃহীত হয়েছে তার ৩০০ কোটি ডলার প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায় খরচ হবে। বাকি টাকা টেস্টিং কিট ও চিকিৎসায় খরচ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে ইউ কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রতিষেধক ছাড়া সম্ভব নয় করোনা রোখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটা জানালেও প্রতিশ্রুতি টুকুই মিলছে, প্রতিষেধক নয়। তাই করোনা প্রতিষেধক সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও সংগঠনরা যৌথভাবে ৮০০ কোটি ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোযণা করলেন। কিন্তু সেই দলে নেই আমেরিকা। অস্বাভাবিক হলেও সারা বিশ্বের এই যৌথ প্রচেষ্টা থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইউরোপীয়ান ইয়নিয়ন, নরওয়ে, সৌদি আরব, জাপান এমনকি চিনও রয়েছে এই দলে। বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থা যেমন বিল ও মেলিন্ডা গেটসের সংস্থাও বিশ্বের এই কঠোর সময়ে সারা বিশ্বের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সাহায্য করছে, তখনই সারা বিশ্বের থেকে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত মার্কিন মুলুকের। একটি অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পর ইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, "কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা ৭৪০ কোটি ইউরো সংগ্রহ করেছি, যা চিকিৎসা ও প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায় কাজে লাগবে।"
আরও পড়ুন: ‘সব দোষ চিনের, করোনায় মারা যেতে পারে ১ লক্ষ মানুষ,’ অশনি বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্টের
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন গোটা বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমণের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। আর তারাই এই প্রচেষ্টায় অংশ নিল না। এটা যুক্তিযুক্ত নয়। এ বিষয়ে মার্কিন আধিকারিকরা অংশগ্রহণ না করার কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানাতে চাননি। গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য বিরুদ্ধে চিনের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে আর্থিক অনুদান বন্ধ করেছে হোয়াইট হাউস। ফের এই প্রচেষ্টায় অনুপস্থিতি। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গ দু:খপ্রকাশ করে বলেছেন,"এটা কষ্টের বিষয় যে আমেরিকা এটার অংশ ছিলনা। যখন সঙ্কটের পরিস্থিতি তখন সবাই মিলে কাজ করা উচিত।" তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মেক্রন অবশ্য জানিয়েছেন তিনি আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁরাও ভবিষ্যতে এখানে অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে তা যেন সকলের কাছে পৌঁছায় এমন সওয়ালও করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, প্রতিষেধক সকলের জন্য শুধু ধনী দেশের জন্য নয়। যে ৮০০ কোটি ডলার সংগৃহীত হয়েছে তার ৩০০ কোটি ডলার প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায় খরচ হবে। বাকি টাকা টেস্টিং কিট ও চিকিৎসায় খরচ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে ইউ কমিশন। তবে এখনও অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সব দেশকে এগিয়ে আসার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।