Mammoths Back: পাহাড়ের মতো দেখতে দানবাকৃতি ভয়ংকর সেই ম্যামথেরা ফিরছে পৃথিবীতে?
Mammoths Back: 'সিআরআইএসপিআর জিন এডিটিং'। এ আসলে কাঁচি দিয়ে কেটে অন্য একটি জিনিস মাঝে বসিয়ে আবার সেলাই করে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি। মলিকিউলার সিজর ব্যবহার করে এক্সটিংক্ট ডিএনএ এশিয়ান এলিফ্যান্টের জিনোমে বসিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রযুক্তিতেই ম্যামথকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উলি ম্যামথ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, কিছুটা সেই সময়ের মানুষের নানা কার্যকলাপের জন্য। কিন্তু বিলুপ্ত হওয়া সেই উলি ম্যামথ কি পৃথিবীর বুকে আবার ফিরে আসছে? হ্যাঁ, সেরকমই শোনা গিয়েছে। মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে শিকার করার মাধ্যমে অনেক প্রজাতির প্রাণীকেই হত্যা করেছে যারা গত কয়েক শতাব্দীতে বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে। এবার তাদের ফিরিয়ে আনার কথা ভীবছে মানুষ। জানা গিয়েছে, মানুষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমশ বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে এরকম প্রজাতির প্রাণী ফিরিয়ে আনার একটা চেষ্টা করছে এক বায়োসায়েন্স কোম্পানি। তারা যদি একাজে সফল হয় তা হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উলি ম্যামথ আবার বিচরণ করতে পারবে এই পৃথিবীর মাটিতে। জানা গিয়েছে, ম্যামথকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা মানুষকেও নানা ভাবে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: Jupiter Beating Saturn: মহাকাশের মেসি-রোনাল্ডো! শনিকে হারিয়ে বৃহস্পতিই জিতে নিল চাঁদের বিশ্বকাপ...
যে কোম্পানিটি এই কাজটি করছে তার নাম 'কলোসাল বায়োসায়েন্স'। এটি একটি বায়োটেক কোম্পানি যা ব্যবসায়ী বেন ল্যাম এবং জেনেটিসিস্ট জর্জ চার্চ শুরু করেছিলেন। তাঁরা জিন-এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে উলি ম্যামথের মতো একটি হাতি তৈরি করতে চাইছেন যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে। ল্যাম বলেছেন, প্রাণীটি তার বংশধর এশিয়ান হাতির সঙ্গে তার জিনগুলির ৯৯.০৬ শতাংশ ভাগ করে নেবে। তবে বাকি .০৪ শতাংশের জিনোম পরিবর্তন করার পরিকল্পনা তাঁরা করেছেন যাতে নতুন করে ফিরে-আসা হাতিরা ঠান্ডা সামলাতে সক্ষম হয়। সেটা করা হবে জিন-এডিটিংয়ের সাহায্যে।
কী এই জিন-এডিটিং প্রযুক্তি?
পুরো কথাটি হল 'সিআরআইএসপিআর জিন এডিটিং'। এ আসলে কাঁচি দিয়ে কেটে অন্য একটি জিনিস মাঝে বসিয়ে আবার সেলাই করে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি। মলিকিউলার সিজর ব্যবহার করে এক্সটিংক্ট ডিএনএ এশিয়ান এলিফ্যান্টের জিনোমে বসিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রযুক্তিতেই ম্যামথকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এই ম্যামথেরা প্রায় ৪০০০ বছর আগে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীতে তখন শেষ আইসএজের অন্তিমভাগ চলছিল।
তাই আর্কটিকের ঠান্ডা আবহাওয়ায় এদের ফিরিয়ে আনতে চান বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়,ম্যামথের শরীরের বিপাকক্রিয়া কেমন ভাবে কাজ করে, সেটা জানতেও এরা সমান আগ্রহী।
আরও পড়ুন: Solar Polar Vortex: ভেঙে গিয়েছে সূর্য; মহাকাশে মহাবিপর্যয়! কতদিন টিকবে এই পৃথিবী?
কিন্তু কেন বিজ্ঞানীরা প্রাণীটিকে এই আর্কটিকের আবহাওয়াতেই ফেরাতে চান?
আসল কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। আর সেই লড়াইয়ের অন্যতম সৈনিক হবে নতুন ভাবে ফিরে আসা এই ম্যামথেরাই। আর্কটিক অঞ্চলে পার্মাফ্রস্ট থাকে। এর নীচে থাকে বিপুল পরিমাণ কার্বন। ওই কার্বন নির্গত হলে তা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও পরিবেশের বেশি ক্ষতি করতে পারে। উলি ম্যামথ সেই আদি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক তৃণভূমিকে আবার ফিরিয়ে আনবে যা ফ্রোজেন কার্বনকে জমাটবদ্ধ রাখতে সাহায্য করবে, যা বেরিয়ে এসে প্রকৃতিতে মিশবে না।