ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে করোনার কেন্দ্রস্থল

 সরকারের পক্ষ থেকে গোটা শহরের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকী বাসে, ট্যাক্সিতেও জীবানুনাশক ছড়ানো হয়েছিল। 

Updated By: Apr 5, 2020, 11:04 AM IST
ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে করোনার কেন্দ্রস্থল

নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল। চিনের সেই উহান ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। প্রায় দুমাসের বেশি সময় ধরে উহানের জনজীব বিপর্যস্ত। ভাইরাসের থাবা, মানুষের মৃত্যু, সব মিলিয়ে যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উহান। ১১ লাখ লোকের বাস উহানে। কিন্তু লকডাউনের জেরে গোটা শহরে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। প্রশাসন যানবাহন বন্ধ করেছে। বাস, ট্যক্সি কিছুই চলছে না। সরকারের পক্ষ থেকে গোটা শহরের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকী বাসে, ট্যাক্সিতেও জীবানুনাশক ছড়ানো হয়েছিল। আর এবার সরকারের কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

হাজমত সুটের ভলেন্টিয়ার্সরা উহানে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে চিনকে করোনাভাইরাস মুক্ত করে উহানবাসীকে সাধারণ জীবন ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে। করোনার প্রকোপে এখানকার বেশিরভাগ মানুষ এখনও গৃহবন্দি। এমনকী বন্ধ সবরকম সাধারণ পরিষেবা। ঝাঙ কোয়াণ, ব্লু স্কাই রেস্কিউয়ের সদস্য। যা চিনের সব থেকে বড় নাগরিক উদ্ধার সংস্থা। এই মহামারীর সময় এই সংস্থা প্রয়োজনীয় দিয়ে উহানের মানুষদের সাহায্য করেছে। একজন প্রাক্তন সৈনিক দ্বারা পরিচালিত ৬০ জনের একটি ভলেন্টিয়ার্স দল হাসপাতাল ও স্কুলগুলিকে জীবাণু মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে। তারাও জীবানুনাশক ছড়াচ্ছে চারপাশে।

আরও পড়ুন— করোনা মোকাবিলায় ভারতের কাছ থেকে ওষুধ চেয়ে কাতর আবেদন মার্কিন প্রেসিডেন্টের

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি ক্লোরিন ডাই অক্সাইড দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা জীবানুমুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে প্রায় দুমাস ধরে বন্ধ সারা দেশ। উহান—এর শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক কর্তারা সতর্ক করেছেন, দেশবাসী যেন নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারে যেন জোর দেওয়া হয়। বেজিংয়েও সংক্রমণ এড়ানোর জন্য সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। উহান এর কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ওয়াং ঝোংলিন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মারণ ভাইরাসের শক্তি বেশি থাকায় সেটা সারা দেশে মহামারীতে পরিণত হয়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, চিনে মোট ৮১,৫৮৯ জন এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।

.