ইরানকে আটকাতে প্রয়োজনে শক্তির ব্যবহার করবেন, জানালেন বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তিটি প্রত্যাহার করেছিলেন। এরপরে ফের ইরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপান তিনি। তেহরানকে প্রায় এক বছর পরে চুক্তির সীমা লঙ্ঘন শুরু করতে প্ররোচিত করে এই নিষেধাজ্ঞা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র পেতে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে শক্তির প্রয়োগ হবে তাঁর শেষ অবলম্বন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে রেকর্ড করা হলেও বুধবার প্রচারিত ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টিভির সঙ্গে তাঁর এক সাক্ষাৎকার। সেখানে বাইডেন বলেন, তিনি ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) কে আমেরিকার বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংস্থার (FTO) তালিকায় রাখবেন। এর ফলে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বন্ধ হয়ে গেলেও এটা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তেহরান ২০১৫ সালে ছয়টি বড় শক্তির সঙ্গে একটি চুক্তি করে। এরফলে তারা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তিটি প্রত্যাহার করেছিলেন। এরপরে ফের ইরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপান তিনি। তেহরানকে প্রায় এক বছর পরে চুক্তির সীমা লঙ্ঘন শুরু করতে প্ররোচিত করে এই নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের মসনদে ভারতীয় সুনক? প্রাথমিক ভোটে পিছনে ফেললেন মর্ডান্ট এবং ট্রাসকে
চুক্তিটি ফের চালু করার সব প্রচেষ্টা এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।
আলোচকরা মার্চ মাসে একটি নতুন চুক্তি প্রায় তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু সেই চুক্তিও বেস্তে যায়। তেহরানের দাবি অনুযায়ী আইআরজিসি-কে সন্ত্রাসবাদি তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে অস্বিকার করে ওয়াশিংটন। এরপরেই বেস্তে যায় নতুন চক্তি হওয়ার সব সম্ভাবনা।