মার্কিন শর্তেই ভেস্তে গেল মার্কিন-তালিবান আলোচনা
আশঙ্কাই সত্যি হল। মার্কিন-তালিবান প্রাথমিক আলোচনা ভেস্তে গেল। গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী ৫ তালিবান সেনার মুক্তির বিষয়ে কাতারে আলোচনায় বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের জন্যই দুই যুযুধান শিবিরের আলোচনা ভেস্তে যায়।
আশঙ্কাই সত্যি হল। মার্কিন-তালিবান প্রাথমিক আলোচনা ভেস্তে গেল। গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী ৫ তালিবান সেনার মুক্তির বিষয়ে কাতারে আলোচনায় বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের জন্যই দুই যুযুধান শিবিরের আলোচনা ভেস্তে যায়। গুয়ান্তানামো বে ডিটেশন সেন্টার থেকে ৫ তালিবান সেনাকে মুক্তির বিনিময়ে তালিবানদের যুদ্ধবিরতির শর্ত দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই শর্ত নাকচ করে দেয় তালিবানরা।
কাতারে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়ে প্রথম থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিল ওবামা প্রশাসন। আলোচনা হয়ে যাওয়ার পরেও একই রকম ভাবে নির্বাক তারা। তবে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানানো না হলেও, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া জানায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে তালিবান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেই, তারা যুদ্ধবিরোতি ঘোষণা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাকে শান্তি আলোচনা বলতেও নারাজ তালিবানরা। যদিও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলেই গত কয়েক মাস ধরে দাবি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি ইউটিউব-সহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিবান সেনাদের মৃতদেহের উপর ৪ মার্কিন ফৌজির প্রস্রাবের ভিডিও ফুটেজ অস্বস্তি বাড়ায় মার্কিন প্রশাসনের। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। তালিবানদের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে প্রথমে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও, পরে সমালোচনায় মুখর হয় তারা। বিতর্কিত ভিডিও ফুটেজটি মার্কিন-তালিবান আলোচনায় প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অপরদিকে তালিবানদের সঙ্গে এবার শান্তি আলোচনায় বসতে চলেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। বিবিসি নিউজ সূত্রে খবর, সৌদি আরবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কারজাই। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদিন জানিয়েছেন, কাবুল সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি তারা।