Biden to Visit Hawaii: হাওয়াই-প্রশ্নে সমালোচনার দাবানলে বাইডেন! দিলেন শীঘ্রই যাওয়ার আশ্বাস...
Biden to Visit Hawaii: জানা গিয়েছে, হাওয়াই দ্বীপে দাবানলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে তার বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। কয়েকশো কোটি ডলার খরচ করতে হবে। সবার আগে প্রশাসনিক সহায়তা চাই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর এক দাবানলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপ যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত। সেখানকার প্রায় সবকিছুই পুড়ে ছাই। এদিকে হাওয়াইয়ের এই বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে বলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Rishi Sunak: 'রাম অনুপ্রাণিত করেন' ভক্তিভরে রামকথা শুনে বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী...
এখনও পর্যন্ত সেখানে ১০১টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ ১৩০০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা। অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও এই নিয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে সমালোচনার মুখে বাইডেন স্বীকার করেছেন, তিনি যাবেন তবে এখনই যাবেন না, গেলে উদ্ধারকার্যে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হাওয়াই দ্বীপ থেকে অভিযোগও উঠেছে, দাবানলের ভয়াবহতাকে অবহেলা করার কারণেই এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ওই দ্বীপ পরিদর্শন করতে যাবেন।
এর আগে বাইডেন বলেছিলেন, ওই দ্বীপের সাধারণ মানুষের যা কিছু প্রয়োজন আগে তাঁদের কাছে সেসব পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান তিনি। বলেছিলেন-- আমি এখনই সেখানে যেতে চাই না। আমি অতীতে অনেক দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় গিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছি, আমাদের সফরের কারণে যেন ওখানকার উদ্ধারকার্য বা সহায়তাপ্রদান ব্যাহত না হয়।
আরও পড়ুন: July The Hottest Month: জুলাই ছিল ভয়ংকর উষ্ণ, এবার জানিয়ে দিল 'নাসা'ও! কেন এত গরম?
গত মঙ্গলবার হাওয়াই দ্বীপে দাবানলের সূত্রপাত। হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে সেই দাবানল পরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে নেন। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও অনেক মানুষের সন্ধান পাননি কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, এই দাবানলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক বছর লেগে যাবে। কয়েকশো কোটি ডলার খরচ করতে হবে।