Arms Package for Taiwan: চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই? ফের জিনপিংয়ের চোখে চোখ বাইডেনের...
ইউক্রেনকে অস্ত্র-সহায়তা দিয়ে রাশিয়া ও রাশিয়া-সমর্থক দেশগুলির বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছে জো বাইডেনের দেশ। এর মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চিন-আমেরিকা টেনশনের সূত্রপাত হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনও লড়াইয়ের ক্ষেত্র কি প্রস্তুত হচ্ছে? ফের জি জিনপিংয়ের চোখে চোখ জো বাইডেনের। কেন? পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই সামরিক সহায়তার মধ্যে থাকছে ৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের (প্রায় ৫,৩০০ কোটি টাকা) 'রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম'। এর মাধ্যমে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আগেভাগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থার সাহায্যে তা ধ্বংস করতে পারবে তাইওয়ান সেনা। এ ছাড়াও থাকছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের (প্রায় ২,৮৩০ কোটি টাকা) ৬০টি জাহাজ-বিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। তাইওয়ানকে দেওয়া আমেরিকার যুদ্ধবিমান এফ-১৬ থেকে যা ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া আমেরিকা টেনশন তুঙ্গে। ইউক্রেনকে অস্ত্র-সহায়তা দিয়ে রাশিয়া ও রাশিয়া-সমর্থক দেশগুলির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে জো বাইডেনের দেশ। এর মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবার চিন-আমেরিকা টেনশনের সূত্রপাত হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Sri Lanka: চিনের হাত থেকে 'মুক্তি' পেতে চলেছে শ্রীলঙ্কা, অর্থ সাহায্যের আশ্বাস আইএমএফ-র
চিনের হামলা ঠেকানোর জন্য তাইওয়ানে সামরিক সাহায্য পাঠাল আমেরিকা। শুক্রবার আমেরিকার কংগ্রেসে তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮,৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিতও হয়ে গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে মার্কিন কংগ্রেসে তাইওয়ানকে অস্ত্রসাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার আইনসভা।
তাইওয়ান উপকূলের পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ-মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা। চিনা উপকূলের অদূরে শুরু হওয়া অপারেশন ওরিয়েন্ট শিল্ড নামে এই যুদ্ধ-মহড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে স্থলসেনার বিশেষ এয়ারবোর্ন ডিভিশন এবং আর্টিলারি ব্রিগেডও। তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সম্ভাব্য হামলা রোখার জন্যই পেন্টাগনের এই প্রস্তুতি বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস যা-ই বলুক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার যা-ই বলুক, মার্কিন দেশকে ধরে একদিকে চিন অন্যদিকে রাশিয়ার এই ঠান্ডা লড়াই বা টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অন্যরকম টেনশন তৈরি করেছে। আজকের পৃথিবীতে হয়তো আর চট করে যুদ্ধ লাগবে না। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নতুন করে যুদ্ধে নামতে অন্তত দশবার ভাববে দেশগুলি। কিন্তু গোপন দড়ি-টানাটানি জারি আছেই।