গুজরাটে ধর্মীয় স্বাধীনতা, উদ্বেগ মার্কিন কংগ্রেসে

গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল আমেরিকা সরকার। এবার ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার দশক-পূর্তির পরই গুজরাতে `ধর্মীয় স্বাধীনতা`র পরিবেশ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিশানা হলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী!

Updated By: Mar 3, 2012, 01:16 PM IST

গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল আমেরিকা সরকার। এবার ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার দশক-পূর্তির পরই গুজরাতে `ধর্মীয় স্বাধীনতা`র পরিবেশ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিশানা হলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী!
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে গুজরাটে `ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার` নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এ একটি বেসরকারি বিল এনেছিলেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান কেইথ এলিসন। সেই `নন বাইন্ডিং রেজলিউশন` এবার পাঠান হল হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এর বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে। ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল-এর তরফে ইতিমধ্যেই হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি শাহিন খাতিব জানিয়েছেন, গুজরাট দাঙ্গার দশম বর্ষপূর্তিতে কেইথ এলিসনের এই পদক্ষেপ নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।

২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেস-এর অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি এই ঘটনার পরবর্তী ভয়াবহ দাঙ্গায় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এবং বিগত এক দশক ধরে গুজরাটে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। কেইথ এলিসনের অভিযোগ, গোটা বিষয়টিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকা ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক `ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সনদ`-এর পরিপন্থী। অবিলম্বে পশ্চিম ভারতের এই অঙ্গরাজ্যে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মানুষদের স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই প্রস্তাবে।‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍

.