কোরিয় দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন সেনা বিষয়ে ‘উদাসীন’ মুন, মুখে কুলুপ কিমের
১৯৫৩ কোরিয় যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি করে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই বিষয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছে তাদের একদা প্রতিবেশী ‘শত্রু’
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই কোরিয়ার সাক্ষাত ইতিবাচক হওয়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এখন মার্কিন সেনার কী দরকার দক্ষিণ কোরিয়ার? তবে, বুধবার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, মার্কিন সেনা থাকার সঙ্গে দুই কোরিয়ার শান্তি চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্লু হাউসের মুখপাত্রের কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের সেনা রয়েছে। এর সঙ্গে কোনও দুই কোরিয়র শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে না।
আরও পড়ুন- বড্ড গুমোট, বিমানের দরজা খুলতে গিয়ে একেবারেই খুলে ফেললেন!
কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন সেনা নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী হতে দেখা গেল দক্ষিণ কোরিয়াকে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন কিম। কোরিয় দ্বীপপুঞ্জেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এমনকী দুই কোরিয় প্রেসিডেন্টের বৈঠকে মার্কিন সেনা তুলে নেওয়া কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মহিলা শৌচালয়ের দেওয়ালের ভিতর মৃত দেহ! চাঞ্চল্য শপিং মলে
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ কোরিয় যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি করে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই বিষয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছে তাদের একদা প্রতিবেশী ‘শত্রু’। কিম বারবার দাবি করেছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটার আগে কোরিয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে মার্কিন সেনা সরাতে হবে। যদিও এই মুহূর্তে মার্কিন সেনা বিষয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি কিমের মুখে। মে বা জুনে মাসে বৈঠক হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। ওই বৈঠককে পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে চাইছেন কিম জং উন, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে বিপত্তি! নিরাপদে বিমান অবতরণ করিয়ে ট্রাম্পের প্রশংসা কুড়ালেন মহিলা পাইলট