পাকিস্তানের অভিযোগের চিঠি নিয়ে আলোচনাই করল না রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চেয়ে মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে চিঠি দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসঙ্ঘে আবারও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের বিরোধিতায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু সেই চিঠি নিয়ে আলোচনাই হল না।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চেয়ে মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে চিঠি দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি জোয়ানা রোনেকাকে বিষয়টি পাকিস্তানের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি। কিন্তু দেখা গেল, রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের কথা শোনার কেউ নেই। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল জোয়ানাকে। কোনও মন্তব্য করব না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের চিঠি নিয়ে কোনও আলোচনাই হল না।
এর আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, ভারতের সংবিধান মেনেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ সরিয়েছে নয়াদিল্লি। স্পষ্ট জানায়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে ঠিক সেটাই লেখা আছে।
কাশ্মীর নিয়ে কোনও আন্তর্জাতিক মহলে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়াই পাননি ইমরান খান। এদিন রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সংবিধান মেনে জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়েই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।
বন্ধু রাষ্ট্র চিনও এব্যাপারে পাশে দাঁড়ায়নি ইসলামাবাদের। মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন দফতরের মুখপাত্র মরগান ওরতেগাস। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে যা হচ্ছে তা নজরে রাখছি আমরা। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার বিলোপ করার বিষয়টি নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন- কূটনীতিতে বাজিমাত ভারতের, রাষ্ট্রসঙ্ঘ তো বটেই, কাউকেই পাশে পেলেন না ইমরান