বাবা-মায়ের চাপ, নিজেকে নিজেই বিয়ে করলেন তরুণী
জেমাইমা জানান, তাঁর কাছে নিজের পড়াশোনা, স্বপ্ন পূরণের চেয়ে বড় কিছু নেই।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মেয়ের বয়স ৩০ পেরিয়েছে। বাবা-মা তাই অনেকদিন ধরেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু মেয়ে নাছোরবান্দা। এই মুহূর্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান তিনি। বাবা-মাও কথা শুনছেন না। সুপাত্রের খোঁজ শুরু হল। বাবা-মাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করলেন মেয়ে। কাজ হল না। তাই বাবা-মাকে নিজের অবস্থান বোঝাতে 'কাণ্ড' বাঁধালেন মেয়ে। লুলু জেমাইমা বিয়ে করলেন। তবে নিজেকেই। এই দাম্পত্যে স্বামীও তিনি, স্ত্রীও।
আরও পড়ুন- পরমাণু-প্রযুক্তি রফতানিতে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের
ভাবতে পারেন, এমন আবার হয় নাকি! উগান্ডার বাসিন্দা জেমাইমা আসলে পাঠ পরিয়ে গেলেন এ সমাজকে। বোঝালেন, নিজেকে ভালবাসতে জানাটা সব থেকে জরুরি। আমরা নিজেরা কী চাই, সেটাই আসল। আর নিজের প্রতি অবাধ ভালবাসাকে প্রাধান্য দিতে তাঁর পদক্ষেপ। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে বিএ মিডিয়া বৃত্তি পান তিনি। স্নাতক হওয়ার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু এর পরই আচমকা বাবা-মায়ের বিয়ে করার আবদার। পড়াশোনা ছেড়ে এখনও বিয়ে করে ঘর-সংসার সামলানোর জন্য তৈরি নন জেমাইমা। আর নিজের ইচ্ছের কথা বাবা-মাকে জানিয়ে লাভ হল না। তাই এমন পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের দাপটে লন্ডভন্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা
জেমাইমা জানান, তাঁর কাছে নিজের পড়াশোনা, স্বপ্ন পূরণের চেয়ে বড় কিছু নেই। তাই নিজের অস্তিত্ব, নিজের প্রতি নিজের ভালবাসার সঙ্গে বাঁধনে বাঁধতে চান তিন। জেমাইমার এই বিয়ের অনুষ্ঠানে অবশ্য তাঁর বাবা-মা আসেননি। জেমাইমা জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আদতে কী হল, তা নিয়ে এখনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা। উগান্ডার এই ৩২ বছর বয়সী মেয়ে বলছিলেন, ''শুধু তাঁদের বোঝাতে চেয়েছিলাম যে এই মুহূর্তে আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত নই।'' বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে জেমাইমার খরচ হয়েছে মাত্র দুই ইউরো। তাও সেটি যাতায়াতের খরচবাবদ। বিয়ের গাউন জোগাড় হয়েছিল এক বান্ধবীর কাছ থেকে। বিয়ের কেক তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁর ভাই। আর অতিথিরা পানশালার খরচ নিজেরাই মিটিয়েছেন।