হামলার আশঙ্কা করে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে ‘কাঁদুনি চিঠি’ পাক বিদেশমন্ত্রীর
পাক সীমান্তে এমনই হামলার আশঙ্কা করে কুরেশি চিঠিতে জানান, ভারত যে কোনও সময়ে তাদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইমরান খানের সরকার এতটাই বিপাকে যে এ বার ‘বাঁচতে’ রাষ্ট্রসঙ্ঘে দ্বারস্থ হল পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুয়েতেরেসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে কোনও সময়ই ভারত হামলা চালাতে পারে। দুই দেশের শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতা করুক রাষ্ট্রসঙ্ঘ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জওয়ানের। ঘটনার দায় স্বীকার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এরপরই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে নানা পদক্ষেপ করতে শুরু করে নয়া দিল্লি। এমনকি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় সেনাকে। যারপরই ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা টয়লেট পেপার পাক পতাকা! পাকিস্তানের অভিযোগে জবাব দিল গুগল
পাক সীমান্তে এমনই হামলার আশঙ্কা করে কুরেশি চিঠিতে জানান, ভারত যে কোনও সময়ে তাদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে। এমনই আশঙ্কায় সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। দ্রুত পদক্ষেপ করুক রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছে ভারতের বায়ুসেনা। সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীরের পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গি দমনে কোনও ত্রুটি রাখবে না তাদের নিরাপত্তাবাহিনী। যদিও, কুরেশি অভিযোগ করেন, পাক বিদ্বেষ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে সে দেশের সরকার। এমনকি ভারত সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে যে চিন্তাভাবনা করেছে, সে বিষয়েও রাষ্ট্রসঙ্ঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কুরেশি।
আরও পড়ুন- পুলওয়ামার পর পাল্টা হামলার ভয়ে আলোচনার প্রস্তাব ইমরানের
এ দিন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও অত্যন্ত নরম সুরে আলোচনার কথা বলেছেন। যুদ্ধ যে সমস্যার সমাধান নয় এবং তাতে দু’দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে কথা মনে করিয়ে ইমরানের পরামর্শ, আলোচনায় বসুক নয়াদিল্লি। যদি পুলওয়ামা ঘটনায় পাকিস্তানের যুক্ত থাকার প্রমাণ ভারত দিতে পারে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তার সরকার। এমনটাই দাবি করেন ইমরান খান। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখেন, ভারত যদি সত্যি যুদ্ধ চেয়ে থাকে, তা বলে তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ। তবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার দিন শেষ। জঙ্গি দমনে যত দিন না পাকিস্তান কড়া পদক্ষেপ করছে, বিভিন্ন উপায়ে তাদের কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা জারি থাকবে ভারতের।