নেই লিঙ্গ সাম্য, নেই বাক স্বাধীনতা, নেই শ্রমিকদের অধিকার, সেই কাতার বিশ্বের দক্ষতম সরকারের নিদর্শন!

কাতার বলতে প্রথমেই এমন এক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা যেখানে মহিলাদের কোনও স্বাধীনতা নেই, প্রতি পদে যেখানে মহিলাদের ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ভিনদেশী শ্রমিকরা যেখানে প্রতি মুহূর্তে শোষিত হন। মুক্ত চিন্তা, বাক স্বাধীনতার কোনও স্থান নেই যেখানে। কিন্তু, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে এই কাতারই নাকি দক্ষ সরকারের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন!

Updated By: Jul 16, 2015, 08:13 PM IST
নেই লিঙ্গ সাম্য, নেই বাক স্বাধীনতা, নেই শ্রমিকদের অধিকার, সেই কাতার বিশ্বের দক্ষতম সরকারের নিদর্শন!

ওয়েব ডেস্ক: কাতার বলতে প্রথমেই এমন এক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা যেখানে মহিলাদের কোনও স্বাধীনতা নেই, প্রতি পদে যেখানে মহিলাদের ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ভিনদেশী শ্রমিকরা যেখানে প্রতি মুহূর্তে শোষিত হন। মুক্ত চিন্তা, বাক স্বাধীনতার কোনও স্থান নেই যেখানে। কিন্তু, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে এই কাতারই নাকি দক্ষ সরকারের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন!

২০২২ সালে এই কাতারেই হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। ১৪৪টি দেশকে পিছনে ফেলে 'দক্ষ প্রশাসনের' তকমা নিয়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রহর গুনছে এই দেশ। তবে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার পর বিতর্কও কম হয় হয়নি।

WEF-এর গবেষকরা গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট-এর উপর ভিত্তি করে দক্ষ সরকারের তালিকা তৈরি করেছে। বিবিধ সরকারি পরিককল্পনা গঠন ও বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ, অযথা খরচ রোধ সহ বিবিধ বিষয়কে প্রতিটি দেশের শাসকদের দক্ষতার নির্ণয় করার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এই তালিকায় কাতারের পরেই আছে সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, হংকং, সংযুক্তা আরব আমিরশাহী ও নিউজিল্যান্ড। এই তালিকায় সাত নম্বরে আছে রুয়ান্ডা। সেদেশে সরকারের তরফে ব্যয় নিয়ন্ত্রণকে প্রশংসা করেছে WEF। এই তালিকাতেই ১৪ নম্বরে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবারই ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন দেশ নির্বাচনের সময় অর্থের বিপুল নয়ছয় হয়েছে বলে দাবি করেছে সুইজারল্যান্ডের দুর্নীতি বিরোধী তদন্ত শাখা। ২০১৮ সালে রাশিয়া ও ২০২২-এ কাতারে হতে চলেছে 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।' সুইস সংস্থার দাবি উভয় দেশই আয়োজকের তকমা পাওয়ার জন্য অনৈতিক পথের আশ্রয় নিয়েছে। যদিও দুই দেশের প্রশাসকই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

২০১৩ সালে কাতারে ক্ষমতায় আসেন শেখ তানিম বিন হামাদ আল-থানাই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনলের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে এরপর থেই সেদেশে অনাবাসী শ্রমিকদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। ভয়ানক হারে তাঁদের উপর শোষন বৃদ্ধি হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি করে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা বাড়ছে লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষমাই, বাড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের উপর হিংসা ও অত্যাচার।

শুধু তাই নয় সে দেশে বাক স্বাধীনতার প্রায় কোনও স্থান নেই। সংবাদমাধ্যমগুলি কড়া সেনসরশিপের অধীনে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কাতারের 'সামাজিক অবস্থানে'-র বিরোধী কোনও রকম মন্তব্য কর্মকান্ড রোধ করার নিয়ে আসা হয়েছে নয়া 'সাইবার ক্রাইম' আইন।

যে দেশে প্রতি নিয়ত লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার সে দেশের প্রশাসন কে কিসের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা দেওয়া হয় সে নিয়ে এখন বিতর্ক বিশ্বজুড়েই।

WMF-এর তালিকা অনুযায়ী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রশাসনের দেশগুলি নিম্ন লিখিত

১) কাতার
২)সিঙ্গাপুর
৩)ফিনল্যান্ড
৪)হংকং
৫)সংযুক্ত আরব আমিরশাহী
৬)নিউজিল্যান্ড
৭)রুয়ান্ডা
৮) মালেশিয়া
৯)সুইৎজারল্যান্ড
১০)লুক্সেমবার্গ

 

 

 

 

.