যুদ্ধের বিভীষিকা ভুলে সিরিয়ার স্কুলে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের ভিড়

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। যুদ্ধের বিভীষিকাকে খানিক ভুলে ক্লাস রুমে ভিড় জমিয়েছে পড়ুয়ারা। অশান্তির জন্য  বহুস্কুল বন্ধ। যে সব স্কুল চলছে সেখানে ক্লাসরুম ভরে উঠেছে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের ভিড়ে।

Updated By: Sep 17, 2013, 08:21 PM IST

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। যুদ্ধের বিভীষিকাকে খানিক ভুলে ক্লাস রুমে ভিড় জমিয়েছে পড়ুয়ারা। অশান্তির জন্য  বহুস্কুল বন্ধ। যে সব স্কুল চলছে সেখানে ক্লাসরুম ভরে উঠেছে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের ভিড়ে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিশুদের। মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার শিশুর। প্রাণ বাঁচাতে  ১০ লক্ষের বেশি শিশুকে ঘড় ছাড়তে হয়েছে।  গত আড়াই বছরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তিন হাজার স্কুলবাড়ি। প্রায় এক হাজার স্কুলে এখন উদ্বাস্তু শিবির। এই মুহূর্তে দেশের ৩৯% শিশুই স্কুলছুট। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার থেকে সিরিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ।  যে সব স্কুল খোলা রয়েছে সেখানকার ক্লাস ভরে গিয়েছে পড়ুয়ায়। সরকারের তরফেও স্কুলে ভর্তির নিয়ম কানুন শিথিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রক ঘরছাড়া শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
ক্লাসঘর গুলি ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যে সব ক্লাসে আগে ৩০ জন ছাত্র ছিল সেখানে ছাত্র সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ জন। কোনও কোনও ক্লাসেতো সংখ্যাটা ৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ক্লাস ফাইভ, সিক্সে সংখ্যাটা ৬০ ছুঁয়েছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরিবারগুলির শিশুদের মনে অনেক ক্ষেত্রেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। কেউ হঠাত্ রেগে যাচ্ছে। কারও মনে বাসা বেধেছে বিষাদ। শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মনোবিদের।
অনেক ছাত্রেরই ব্যবহারে বদল লক্ষ্য করছি। স্কুলে শিক্ষক ও মনোবিদরা  ওদের মনের অবস্থা বুঝে ওদের ব্যবহারে বদল আনার চেষ্টা করছেন।
যুদ্ধের ভয়াবহতাকে দূরে সরিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়াশুনা শুরু হয়েছে স্কুলগুলিতে। সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে পড়ুয়ারা।
 মেয়েদের স্কুলে আসার হার কমেছে। নিরাপত্তার কারণে অনেক বাবা মা মেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, আড়াই বছরের গৃহযুদ্ধে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিশুদের। হারিয়ে গিয়েছে গোটা একটা প্রজন্ম।

.