Syria: নগদ সব অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন আসাদ, তারপরও সোনার পাহাড়ে বসে সিরিয়া
Syria: ২০১১ সালে সিরিয়ায় গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হলে বাসার আল–আসাদ বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করেন। একপর্যায়ে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ২০১৫ সালে রাশিয়া আসাদের পক্ষ হয়ে এ যুদ্ধে অংশ নেওয়া শুরু করে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিদ্রোহীদের হানায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ। তিনি এখন রাশিয়ায়। তার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা পর্য়ন্ত করেনি। একপ্রকার বিনা বাধাতেই দামেস্কে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। আর তার আগেই নগদ অর্থ নিয়ে দেশে ছাড়েন আসাদ। তবে দেশের মজুত সোনায় হাত দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন-মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দৌড়ে নেই ভারত-চিন-আমেরিকা, শীর্ষ ৫ স্থানে রয়েছে এইসব দেশ...
আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সিরিয়ায় এই মুহূর্তে রয়েছে ২৬ টন সোনা। ২০১১ সালেও মজুত সোনার পরিমান একই ছিল। ফলে বোঝা যাচ্ছে সোনায় হাত দিতে পারেননি আসাদ। ওই সোনার মূল্যা ২.২ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে জানা যাচ্ছে নগদ অর্থে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ডলারের মতো। কোনও কোনও মহলের ধারনা ওই অর্থের পরিমাণ আরও কম। সিরিয়ার বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটির ডলারের রিজার্ভ প্রায় শূন্য হয়ে আসার পেছনে কারণ হলো আসাদ সরকার খাদ্য, জ্বালানি ও যুদ্ধ তৎপরতায় এখান থেকে বেহিসাবি খরচ করেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হলে বাসার আল–আসাদ বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করেন। একপর্যায়ে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ২০১৫ সালে রাশিয়া আসাদের পক্ষ হয়ে এ যুদ্ধে অংশ নেওয়া শুরু করে। সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আসাদের মিত্র ইরানও। গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে আসাদ দেশের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তথ্য আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার সঙ্গে শেয়ার করা বন্ধ করে দেন।
গৃহযুদ্ধ শুরুর দীর্ঘ ১৩ বছর পর সম্প্রতি বিদ্রোহীদের ঝোড়ো আক্রমণের মুখে ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান বাশার আল–আসাদ। অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হানা দিয়ে সিরীয় পাউন্ড হাতিয়ে নেয়। তবে তারা ব্যাংকের প্রধান ভল্ট ভাঙতে পারেনি। এতে সোনার মজুত অক্ষত থেকে যায়।
আসাদকে হটাতে বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়েছে হায়াত তাহরির আল–শাম (এইচটিএস)। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে সংগঠনটি আল–কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে আল–কায়দার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তারা। সংগঠনটির প্রধান মোহাম্মদ আল–জুলানি (আহমেদ হুসাইন আল–শারা)। আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করেছে সরকার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)