সিরিয়ার অনাহারে মারা যাওয়া শিশুর ছবি দেখে চোখে জল

সিরিয়ায় দামাস্কাসের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হল এক শিশুকে । তার বাদামী দুটি চোখ কঠিন মুখগহ্বরের অন্তরালে ঢুকে রয়েছে। পাঁজরের প্রত্যেকটি হার গোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে শিশুটির সারা গায়ে একটা ফিনফিনে পাতলা চামড়া জড়ানো। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করছে। ডাক্তার, শিশুটির মা নিরুপায় হয়ে দেখছে। আস্তে আস্তে শিশুটির এক একটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে যায়।

Updated By: Feb 6, 2014, 03:47 PM IST

-----------------------------------------------------------------------
সিরিয়ায় দামাস্কাসের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হল এক শিশুকে । তার বাদামী দুটি চোখ কঠিন মুখগহ্বরের অন্তরালে ঢুকে রয়েছে। পাঁজরের প্রত্যেকটি হার গোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে শিশুটির সারা গায়ে একটা ফিনফিনে পাতলা চামড়া জড়ানো। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করছে। ডাক্তার, শিশুটির মা নিরুপায় হয়ে দেখছে। আস্তে আস্তে শিশুটির এক একটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে যায়। হৃদপিন্ডও একটা সময় থেমে যায়। তার মা এর ঘর থেকে ও ঘর চিত্কার করে বলছে "আমার ছেলেকে বাঁচাও, দয়া করে আমার ছেলেকে বাঁচাও"। (ছবিতে সেই শিশুটি)

হাসপাতালের এই ছবিটি দেখা গিয়েছিল গত ১২ জানুয়ারিতে। কিন্তু অবাক হতে হয়ে শিশুটির মৃত্যুর কারণ জেনে। শিশুটি মারা গিয়েছিল শুধুমাত্র খেতে না পেয়ে। এই ছবিটি এখন ফেসবুকের সেরা বেদনার দৃশ্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।

সিরিয়া সরকারের নতুন নীতি হল সরকারের বিরোধীদের অনাহারে রাখা। তার কারণেই সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার নেই, বাসস্থান নেই, কাপড় নেই। মায়ের বুকের দুধ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। শিশুদেরকে ন্যুনতম খাবারও মুখে তুলে দিতে পারেচ্ছে না। খাবারে জন্য মৃত শিশুকে সেখানে ফেলে চলে যাচ্ছে অনেক পরিবার। ন্যাশানাল হসপিটাল সূত্রে জানা যাচ্ছে গত মাসে ৪৩ জন লোক মারা গেছে শুধুমাত্র অনাহারে। তারমধ্যে ২২ জন ছিল শিশু। হসপিটাল কতৃপক্ষের দাবি পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকার কারনে শিশু মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

প্রতিদিন বারুদের গন্ধে শ্বাস নিয়ে দিন কাটে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার মানুষদের। কখনও বিষাক্ত গ্যাসে, কখনও আকাশ থেকে বোমা আক্রমণ, কখনও বিদেশী শক্তির চোখরাঙানিতে কোণঠাসা সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। তার উপর এই অনাহার নীতিতে সিরিয়া সরকারের প্রতি নিন্দায় মুখর হয়েছে বিশ্বের কিছু দেশও।

.