এগারো বছর আগের `প্রেস্টিজ` দুর্ঘটনার রায় শোনাবে স্পেনের আদালত
২০০২ স্পেনের উত্তর উপকূলের গ্যালাসিয়ার কাছে তৈলবাহী জাহাজ ডুবে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছিল পরিবেশের। প্রাণীজগতের সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন উপকূলবাসীরাও। বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই দুর্ঘটনার মামলায় রায় দিতে চলেছে গ্যালাসিয়ার আদালত। রায়ের দিকে তাকিয়ে বিশ্বের পরিবেশপ্রেমীরা।
২০০২ স্পেনের উত্তর উপকূলের গ্যালাসিয়ার কাছে তৈলবাহী জাহাজ ডুবে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছিল পরিবেশের। প্রাণীজগতের সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন উপকূলবাসীরাও। বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই দুর্ঘটনার মামলায় রায় দিতে চলেছে গ্যালাসিয়ার আদালত। রায়ের দিকে তাকিয়ে বিশ্বের পরিবেশপ্রেমীরা।
এগারো বছর আগে স্পেনের উত্তর উপকূলের গ্যালাসিয়ার কাছে ডুবে গিয়েছিল বাহামার তৈলবাহী জাহাজ প্রেস্টিজ। গোটা সমুদ্র জুড়ে জ্বালানী তেল ছড়িয়ে পড়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পরিবেশ। স্পেনের ইতিহাসে যা বৃহত্তম পরিবেশ দুর্ঘটনা হিসাবেই চিহ্ণিত। পরিবেশ দূষণে প্রাণীজগতের সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন স্পেনের অসংখ্য উপকূলবাসীও। আগামী বুধবার গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় দিতে চলেছে গ্যালাসিয়ার আদালত।
২০০২ সালের নভেম্বরে লিথুয়েনিয়া থেকে জিব্রালটার যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে তৈলবাহী জাহাজ প্রেস্টিজ। ঝড়ের মুখে জাহাজে জল ঢুকতে শুরু করে। ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে সমুদ্রেই সাতাত্তর হাজার টন জ্বালানী তেল ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন জাহাজের গ্রিক ক্যাপ্টেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। দুহাজার দুইয়ের তেরোই নভেম্বর সমুদ্রে ডুবে যায় প্রেস্টিজ। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে ফেলা জ্বালানী তেলের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয় বহু প্রাণীর। চূড়ান্ত ক্ষতি হয় স্পেনের উত্তর উপকূলের পরিবেশের। অবস্থার সামাল দিতে ইউরোপের প্রায় তিন হাজার সেচ্ছ্বাসেবীকে নামতে হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ আনা হয় জাহাজের ক্যাপ্টেন অ্যাপোস্টোলস মানগোরাস সহ চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং ফার্স্ট মেটের বিরুদ্ধে। প্রেস্টিজ যখন ডুবতে বসেছে সেসময় জাহাজটিকে সমুদ্রে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্পেনের বাণিজ্য জাহাজ সংস্থার তত্কালীন প্রধান হোসে লুইস লোপেজ। তাঁর বিরুদ্ধেও এই ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের রায়ে বারো বছরের কারাদণ্ড হতে পারে প্রেস্টিজের ক্যাপ্টেনের। একইসঙ্গে প্রায় আট বিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে অভিযোগকারীদের তরফে। এখন আগামী বুধবার
গ্যালাসিয়ার আদালত কী রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে স্পেন ও বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষ।