Last True Hermit: 'উত্তর পুকুরের সাধু'! তিরিশ বছর কাটিয়ে দিলেন একটি কথাও না বলে...
Last True Hermit: দীর্ঘ সময় তিনি গৃহছাড়া, নির্জনবাসে মগ্ন। কারও সঙ্গে কথার অবকাশই নেই। কিচ্ছু সঙ্গেও রাখেননি। তাঁর বাবা-মা'ও কোনও দিন পুলিসের কাছে মিসিং ডায়েরি করেননি। স্মৃতি থেকে যেন মুছে গিয়েছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘ তিনটি দশক-- হিসেব করে বললে ২৭টি বছর। নিবিড় জঙ্গলের মধ্যে বাস। এতগুলি দিন ধরে কারও সঙ্গে কথাও বলেননি তিনি। শহর থেকে দূরে, নাগরিক জীবন থেকে দূরে কাটালেন তাঁর দিনগুলি। নাম তাঁর ক্রিস্টোফার নাইট। ম্যাসাচুটেসে বাড়ি। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কবেই। ইদানীং নাম তাঁর 'নর্থ পন্ড হারমিট'। গত অগস্টে মারা গেলেন মানুষটি। আমাজনের একটি ইনডিজেনাস ট্রাইবের অন্তর্ভুক্ত তিনি। ব্রাজিলে তাঁর শিকড়।
পরিবারের কাউকে বা আত্মীয়-স্বজনকে বা বন্ধুবান্ধব-- কাউকে কিছু না জানিয়ে ১৯৮৬ সালে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন ক্রিস্টোফার নাইট। থাকতেন গভীর জঙ্গলে। সঙ্গে সেদিন কিচ্ছু নেননি।
আরও পড়ুন: Brazil: মারা গেলেন পৃথিবীর সব থেকে নিঃসঙ্গ মানুষ, কেন তাঁর কুটিরের বাইরে গর্ত...
শহরজীবনের প্রতিদিনকার একঘেয়ে ঘষটানি হয়তো তাঁর পছন্দ হয়নি। তিনি ইদানীং পরিচিত ছিলেন 'নর্থ পন্ড হারমিট' নামে। ২০১৩ সালে পুলিসের হাতে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি একটি তাঁবুতে থাকতেন। জঙ্গল থেকে যা খাবার-দাবার মিলত তা-ই খেতেন।
না, আর একটি কাজও করতেন এই নির্জনবাসী। তিনি যেখানে থাকতেন, তার সন্নিহিত অঞ্চলে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য একটি খাদ্যভাণ্ডার ছিল। সেখান থেকে তিনি নিয়মিত খাবার চুরি করতেন। আর এজন্যই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। দেখা গিয়েছিল, ২৭ বছরে প্রায় হাজারটি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি! তাঁর ৭ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল।
তার আগে পর্যন্ত নির্জনবাসে থাকতে থাকতে ক্রিস্টোফার মানুষের ভাষাও ভুলে গিয়েছিল। কী ভাবে কথা বলতে হয়, ভুলে গিয়েছিল তা। সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন একটি জীবন তিনি কাটাতেন। মৃত্যু এসে তাঁর জীবনে টেনে দিল চির-যবনিকা।