ধরি মাছ, ছুঁই পানি

কনকনে ঠাণ্ডা। চারিদিকে বরফঘেরা। তারমাঝেই মাছ ধরার খেলায় মেতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার হাওয়াসেঁওর বাসিন্দারা। দূরদূরান্ত থেকে সামিল বিচিত্র উত্সবের সাক্ষী হতে। তাপমাত্রা মাইনাসে। চারিদিকে বরফ। গায়েও মোটা মোটা শীতপোশাক। আর এই আবহাওয়াতেই হিম শীতল জলে কিনা স্রেফ একটা জার্সি গায়ে।

Updated By: Jan 20, 2017, 11:17 PM IST
ধরি মাছ, ছুঁই পানি

ওয়েব ডেস্ক: কনকনে ঠাণ্ডা। চারিদিকে বরফঘেরা। তারমাঝেই মাছ ধরার খেলায় মেতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার হাওয়াসেঁওর বাসিন্দারা। দূরদূরান্ত থেকে সামিল বিচিত্র উত্সবের সাক্ষী হতে। তাপমাত্রা মাইনাসে। চারিদিকে বরফ। গায়েও মোটা মোটা শীতপোশাক। আর এই আবহাওয়াতেই হিম শীতল জলে কিনা স্রেফ একটা জার্সি গায়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এ এক জনপ্রিয় খেলা। মাছের পেছনে ছুটে বেড়ানো কনকনে হাঁটু জলে। খালি পায়ে জলের ভিতর ছুটোছুটি। খালি হাতেই মাছ শিকার। হাতে শিকার এল তো আহ্লাদ দেখে কে। যেন কখনই মাছের সঙ্গে দেখা হয়নি। পাতে হোক বা বাজারে। মাছ পেয়ে এমন আনন্দ? এ মাছ তো যে সে মাছ নয়। এ যে একেবারে লটারি পাওয়া। মাছ ধরেই সটান জার্সির ভিতর পুরে ফেলা।

আরও পড়ৃুন- বিশ্বের ৩০টি প্রগতিশীল শহর কোনগুলি, জেনে নিন

গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? ভাবছেন মাছ যদি কাঁটা মারে? তা মারতেই পারে। মাছের সঙ্গে তো আর কোনও চুক্তি হয়নি। তবে এটাই এই খেলার নিয়ম।

তবে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় যদি ভাবেন এক হাঁটু জলে নামবেন না। তাহলেও অসুবিধে নেই। সে ব্যবস্থাও আছে। তাহলে আইস ফিশিং করুন। কচিকাঁচারাও সামিল আইস ফিশিংয়ে। জমাট বরফের মাঝে ছোট্ট একটা গর্ত করে আইস ফিশিং। আর মাছ উঠলে! সবারই তখন বয়স ৮।

৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩ দিন ধরে চলবে আইস ফেস্টিভ্যাল। মাছ ধরার উত্সব চাক্ষুস করতে হাজির হয়েছেন ভিন দেশের পর্যটকেরাও।

আরও পড়ৃুন- ওসামা বিন লাদেনের গোপন নথি প্রকাশ করল CIA

.