বাংলার বেশিরভাগ লেখক আগে সিপিএমকে সমর্থন করত, এখন তৃণমূলকে সমর্থন করে: তসলিমা নাসরিন

ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনের সমালোচনা করার পর, বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলার কয়েকজন লেখকের বিরুদ্ধে ট্যুইটারে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেন। "বাংলার লেখকরা কতটা সাধু দেখুন। বাংলার বেশিরভাগ লেখকই আগে ছিলেন সিপিএমের সমর্থক। এখন তাঁরা হয়ে গেছেন তৃণমূলের সমর্থক। তাঁরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দল পরিবর্তন করেছেন।",এমনটাই বক্তব্য তসলিমার।

Updated By: Oct 18, 2015, 03:33 PM IST
বাংলার বেশিরভাগ লেখক আগে সিপিএমকে সমর্থন করত, এখন তৃণমূলকে সমর্থন করে: তসলিমা নাসরিন

ওয়েব ডেস্ক: ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনের সমালোচনা করার পর, বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলার কয়েকজন লেখকের বিরুদ্ধে ট্যুইটারে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেন। "বাংলার লেখকরা কতটা সাধু দেখুন। বাংলার বেশিরভাগ লেখকই আগে ছিলেন সিপিএমের সমর্থক। এখন তাঁরা হয়ে গেছেন তৃণমূলের সমর্থক। তাঁরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দল পরিবর্তন করেছেন।",এমনটাই বক্তব্য তসলিমার।

তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালে লেখক তপন রায় চৌধুরী কলকাতা থেকে দিল্লিতে তসলিমার সাথে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে তসলিমাকে তিনি ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর তপন বাবুকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

তাঁর ব্লগ 'নো কান্ট্রি ফর উইমেন'-এ তিনি বাংলার লেখকদের নারীবিদ্বেষী, পৌরুষপূর্ণ ব্যাক্তি এবং তাদের পুরুষ তান্ত্রিক মিডিয়া সব সময় মসজিদের থেকে অনেক দূরে থাকেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,"যদি তুমি তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে যাও তাহলে তোমাকে তারা নির্বাসিত করে দেবে দেশ থেকে।" ২০০৩ সালে 'দেহান্বিত' বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পিছনে সাহিত্য অ্যাকাডেমির প্রাক্তন সভাপতি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ছিল বলে তিনি দাবী করেন। এরপরেই তাঁকে দেশ ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ভারতের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার ওপর কিভাবে দ্বিচারি লেখকেরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন- একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক লেখকদের অ্যাকাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তসলিমা।

.